কলমাকান্দায় নদীর পানি বেড়েছে, ৫৬টি বিদ্যালয়ের মাঠ প্লাবিত
টানা ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে নেত্রকোনায় নদীর পানি আরও বেড়েছে। আজ সোমবার সকালে উপজেলার উব্দাখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ২৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গতকাল রোববার বেলা দেড়টার দিকে ওই নদীর কলমাকান্দা ডাকবাংলো পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ১৬ সেন্টিমিটার ওপরে ছিল।
নদীর পানি বাড়ায় কলমাকান্দার অন্তত ৫৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ তলিয়ে গেছে। উপজেলার নিম্নাঞ্চলের বাড়িঘর, রাস্তাঘাট, বীজতলাও প্লাবিত হয়েছে। এদিকে ৫৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ ৬৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে প্রস্তুত করেছে প্রশাসন। তবে এখন পর্যন্ত আশ্রয়কেন্দ্রে কোনো মানুষ আসেনি।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহানারা খাতুন বলেন, কলমাকান্দায় ১৭২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে ৫৪টি বিদ্যালয়ে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে খোলার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া বাহাদুরকান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাইজপাড়া, খলা-১, খলা-২, বড়খাপন, চৌহাট্টা, বাউসারী, হাইলাটী, রিকা, পোগলা, ভাটিপাড়াসহ অন্তত ৫৬টি বিদ্যালয়ের মাঠে পানি ঢুকেছে।
স্থানীয় লোকজন জানান, উপজেলা মোড়-মুক্তিরচর, বাহাদুরকান্দা-বাসাউড়া, ঘোষপাড়া-হরিণধারা, কলমাকান্দা-বিশরপাশা পাকা রাস্তা, গোরস্থান-সাউদপাড়া, গজারমারী-খারনৈ ইউনিয়ন পরিষদ, গোবিন্দপুর-রানীগাঁও কাঁচা রাস্তাসহ আরও অন্তত ১৫টি রাস্তার বিভিন্ন অংশ পানিতে তলিয়ে গেছে।
খারনৈ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ওবায়দুল হক তাঁর ইউনিয়নের চারটি রাস্তায় পানি ওঠার তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, কলমাকান্দা-গোবিন্দপুর সড়কের বাউসাম রুমালীর বাড়িসংলগ্ন এলাকায় সড়কটির কিছু অংশ পানিতে ভেঙে যায়। তিনিসহ স্থানীয় মানুষের সহযোগিতায় সড়কটির মেরামত করা হচ্ছে।
পোগলা ইউপির চেয়ারম্যান মো. মোজাম্মেল হক জানান, ইউনিয়নের কালাকোনা, জীবনপুর, গোয়াতলা, কৈলাটি, মঙ্গলসিধসহ বেশ কয়েকটি গ্রামে পানি ঢুকতে শুরু করেছে। এতে ওই এলাকার মানুষ কিছুটা পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, কয়েক দিনের বৃষ্টিতে নদীর পানি অনেকটা বেড়ে গেছে। সংশ্লিষ্ট ইউপির চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে প্রতিটি গ্রামে খোঁজখবর রাখা হচ্ছে। তা ছাড়া জরুরি হটলাইন নম্বর খোলা হয়েছে। শুকনা খাবারসহ প্রয়োজনীয় উপকরণ প্রস্তুত রাখা হচ্ছে। ৫৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ ৬৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত আশ্রয়কেন্দ্রে কোনো মানুষ আসেনি।
নেত্রকোনা পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সারওয়ার জাহান আজ দুপুর ১২টার দিকে বলেন, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারী বৃষ্টিতে জেলার সব নদ-নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। কলমাকান্দায় উব্দাখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ২৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
আরও পড়ুন
-
নায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যায় আজিজ মোহাম্মদ ভাইসহ ৩ জনের যাবজ্জীবন, ৬ জন খালাস
-
চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী কেন খুন হন, আদালতে সাক্ষীরা যা বলেছিলেন
-
মূল্যস্ফীতি, ডলারের দাম বেড়ে যাওয়া পশ্চিমাদের সৃষ্টি: জ্বালানি উপদেষ্টা
-
নির্মাণাধীন বাড়ির ছাদে বসেছিল রক্তাক্ত শিশুটি, গলাজুড়ে ছুরির ক্ষত
-
বাইডেনের অস্ত্রের চালান বন্ধের হুমকিতে ক্ষুব্ধ ইসরায়েল