
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় একটি পরিত্যক্ত জায়গায় পুকুর খননের সময় ‘কষ্টিপাথরের’ একটি মূর্তি পাওয়া গেছে। আজ শুক্রবার জুমার নামাজের পর উপজেলার কাটাবাড়ী ইউনিয়নের কাটাবাড়ী গ্রাম থেকে মূর্তিটি উদ্ধার করা হয়।
শ্রমিকেরা দুপুরে পুকুর খনন করতে গিয়ে একটি মূর্তি পান। তাঁরা বিষয়টি কাটাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে জানালে তিনি বৈরাগীরহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মিলন চ্যাটার্জী মূর্তিটি উদ্ধার করে নিয়ে যান।
এসআই মিলন চ্যাটার্জী প্রথম আলোকে বলেন, কাটাবাড়ী গ্রামের আবদুল মজিদ পুরোনো একটি মাটির টিবি লাগোয়া ১০ কাঠা জমিতে পুকুর খনন করছিলেন। এ সময় শ্রমিকেরা একটি মূর্তি পান। মূর্তিটির ওজন সাড়ে তিন কেজি। এর উচ্চতা ৭ ফুট ৬ ইঞ্চি। নারী প্রতিকৃতির মূর্তিটি কোন দেবীর, সেটি তিনি জানাতে পারেননি।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মূর্তিটি কষ্টিপাথরের তৈরি। লোহা ও ব্লেড মূর্তির সংস্পর্শে আনলে তা চুম্বকের মতো মূর্তিটির সঙ্গে আটকে যায়।
এসআই মিলন চ্যাটার্জী আরও বলেন, মূর্তিটি কষ্টিপাথরের কি না, তা নিশ্চিত নয়। তবে দেখতে কষ্টিপাথরের মতো। এটি প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের রাজশাহী আঞ্চলিক কার্যালয়ে পাঠানো হবে।
মুঠোফোনে মূর্তিটির ছবি পাঠিয়ে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের রাজশাহী আঞ্চলিক কার্যালয়ের আঞ্চলিক পরিচালক নাহিদ সুলতানার কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি কষ্টিপাথরের মূর্তি কি না, তা পরীক্ষা করার আগে বলা যাচ্ছে না। সাধারণত প্রতারণার জন্য সিমেন্টের তৈরি মূর্তির ভেতরে চুম্বক দেওয়া হয়। এ জন্য লোহা কিংবা ব্লেডের মতো ধাতব পদার্থ আকর্ষণ করছে।’