
ময়মনসিংহের ভালুকায় কৃষক দল নেতার বাড়িতে আগ্নেয়াস্ত্র আছে—এমন খবরে গতকাল শনিবার মধ্যরাত থেকে আজ রোববার ভোর পর্যন্ত অভিযান চালিয়েছে যৌথ বাহিনী। বাড়িতে থাকা ঘরগুলোয় তন্ন তন্ন করে খুঁজেও অস্ত্র পাওয়া যায়নি। পরে বাড়ির পাশের একটি বাগানে পাওয়া যায় একটি নাইন এমএম বিদেশি পিস্তল, ম্যাগাজিন ও পাঁচটি গুলি।
পুলিশ বলেছে, ওই নেতাকে কেউ ফাঁসাতে তাঁর বাড়ির কাছে অস্ত্র ফেলে রেখে গেছে। তাই এ ঘটনায় ওই ব্যক্তিকে আটক করা হয়নি।
কৃষক দলের ওই নেতার নাম মো. হাফিজ উদ্দিন। তিনি ভালুকা উপজেলার হবিরবাড়ি ইউনিয়ন কৃষক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক পদে আছেন। হবিরবাড়ি ইউনিয়নের জীবনতলা বাজার–সংলগ্ন এলাকায় হাফিজ উদ্দিনের বাড়ি। তিনি পেশায় কৃষক। গ্রামের মৃত নূর উদ্দিন মুন্সির ছেলে তিনি।
মো. হাফিজ উদ্দিন মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল রাতে হঠাৎ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তাঁর বাড়িতে এসে বলতে থাকেন, এখানে অস্ত্র আছে। তাঁরা বাড়ির চারটি কক্ষ ও একটি রান্নাঘর তন্ন তন্ন করে খোঁজেন। কিন্তু কোথাও অস্ত্র পাননি। পরে বাড়ির ১০০ থেকে ১৫০ গজ দূরের বাগানে কাপড়ে মোড়ানো একটি পিস্তল পাওয়া যায়। এটি নিয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। অস্ত্রটির ব্যাপারে তিনি কিছু জানেন না বলে তাঁদের বলেন।
কৃষক দল নেতা হাফিজ উদ্দিনের দাবি, ‘আমাকে ফাঁসাতে এমনটি করা হয়েছে। কিন্তু কারা করছে, বুঝতে পারছি না। যে কাজ হয়েছে, তা খুবই নোংরা। গত এপ্রিলে আমার ছেলে সাবাব সরকারকে মেরে বাড়ির পাশের একটি বিদ্যুতের খুঁটির নিচে ফেলে যায়। কোন শত্রু, কী কারণে এমনটি করছে জানতে পারলে ছেলে হত্যায় মামলা করতে পারতাম।’
ভালুকা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবীর বলেন, যৌথ বাহিনী অভিযান পরিচালনা করে অস্ত্রটি যার বাড়ির পাশে যাওয়া যায় তাঁকে সন্দেহ করে। পরে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ নিশ্চিত হয়, জঙ্গলে অস্ত্রটি রেখে হাফিজ উদ্দিনকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। তাঁকে কারা ফাঁসাতে পারে বা কেন তাঁর বাড়ির পাশে অস্ত্রটি পাওয়া গেল, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।