অপসারণের দাবিতে নাটোরের বড়াইগ্রাম সরকারি অনার্স কলেজের অধ্যক্ষকে অবরুদ্ধ করেন শিক্ষার্থীরা। আজ রোববার দুপুরে
অপসারণের দাবিতে নাটোরের বড়াইগ্রাম সরকারি অনার্স কলেজের অধ্যক্ষকে অবরুদ্ধ করেন শিক্ষার্থীরা। আজ রোববার দুপুরে

পরীক্ষা বয়কট করে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, ছুটি নিয়ে কলেজ ছাড়লেন অধ্যক্ষ

নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার বড়াইগ্রাম সরকারি অনার্স কলেজের অধ্যক্ষের অপসারণ দাবিতে পরীক্ষা বয়কট করে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। আজ রোববার সকালে বিক্ষোভের কারণে অবরুদ্ধ অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মো. আব্দুল্লাহেল বাকি ১৫ দিনের ছুটি নিয়ে কলেজ ত্যাগ করেছেন। পাশাপাশি নির্ধারিত পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।

বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা বলছেন, অধ্যক্ষের নির্দেশে স্নাতক (পাস) পরীক্ষার ফরম পূরণ বাবদ ১ হাজার ৩০০ টাকার পরিবর্তে ৩ হাজার ৩০০ টাকা নেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয় বর্ষের টেস্ট পরীক্ষার (নির্বাচনী) ফি ২৮০ টাকার পরিবর্তে নেওয়া হয়েছে ৫০০ টাকা। এ ছাড়া বিজ্ঞান ভবন সংস্কার, বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানসহ কলেজের বিভিন্ন কাজে অধ্যক্ষ ব্যাপক অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতা করে আসছেন।

কলেজ সূত্রে জানা গেছে, এসবের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা আজ সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত নির্ধারিত প্রথম বর্ষের বার্ষিক ও দ্বিতীয় বর্ষের আইসিটি টেস্ট পরীক্ষা বয়কট করেন। তাঁরা অধ্যক্ষের অপসারণ দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। একপর্যায়ে তাঁরা অধ্যক্ষকে নিজের কক্ষে অবরুদ্ধ করে রাখেন। খবর পেয়ে উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আশরাফুল ইসলাম কলেজে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেন। পরে আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে অধ্যক্ষ ১৫ দিনের ছুটি নিয়ে কলেজ ত্যাগ করেন। এ সময় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব নেন কলেজের সহকারী অধ্যাপক আবদুল মতিন।

কলেজের ইসলামের ইতিহাস বিভাগের ছাত্র মো. সালাউদ্দিন বলেন, স্নাতক (পাস) পরীক্ষার ফরম পূরণের জন্য ১ হাজার ৩০০ টাকার পরিবর্তে ৩ হাজার ৩০০ টাকা আদায় করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া বিজ্ঞান ভবন সংস্কার, বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানসহ কলেজের বিভিন্ন কাজে অধ্যক্ষ ব্যাপক অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতা করে আসছেন। এ জন্য তাঁরা বিক্ষোভ করেছেন।

অভিযোগের বিষয়ে অধ্যক্ষ আব্দুল্লাহেল বাকির মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। পরে খুদে বার্তা পাঠিয়েও সাড়া পাওয়া যায়নি।

সহকারী কমিশনার (ভূমি) আশরাফুল ইসলাম বলেন, অধ্যক্ষ আপাতত ১৫ দিনের ছুটি নিয়েছেন। নির্ধারিত আইসিটি পরীক্ষা স্থগিত রাখা হয়েছে। অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হবে এবং প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা চাওয়া হবে।