Thank you for trying Sticky AMP!!

‘ক্ষমতায় টিকে থাকতে সব সাংবিধানিক অধিকার ক্ষুণ্ন করছে সরকার’

নয়াপল্টনে নেতা-কর্মীদের ওপর পুলিশের গুলি, হত্যা, অভিযানের নামে কার্যালয়ে ঢুকে হামলা ও গণগ্রেপ্তারের প্রতিবাদে বিএনপির বিক্ষোভ। বৃহস্পতিবার দুপুরে সদর রোডে দলীয় কার্যালয়ের সামনে

ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার জোর করে ক্ষমতায় থাকতে গিয়ে সংবিধানের সব অধিকার ক্ষুণ্ন করছে। বিরোধী দলের রাজনীতি করার পরিবেশ নষ্ট করতে গুম, খুন, মিথ্যা ও গায়েবি মামলা দিয়ে হয়রানির পথ বেছে নিয়েছে। এখন পুলিশ দিয়ে বিএনপির শান্তিপূর্ণ অবস্থানে গুলি চালিয়ে জনরোষ দমনের অপকৌশল হাতে নিয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বরিশাল নগরের সদর রোডে অশ্বিনী কুমার টাউন হল-সংলগ্ন দলীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে বিএনপির নেতারা এসব কথা বলেন।

রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে নেতা-কর্মীদের ওপর পুলিশের নির্বিচার গুলি ও হত্যা, অভিযানের নামে কার্যালয়ে ঢুকে হামলা এবং নেতা-কর্মীদের গণগ্রেপ্তারের প্রতিবাদে এ বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে বরিশাল মহানগর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপি।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, অবৈধ সরকার জানে, তাদের দিন ফুরিয়ে এসেছে। তাই একদলীয় আচরণের মাধ্যমে শেষ মরণকামড় দিচ্ছে। কিন্তু এতে সরকারের শেষ রক্ষা হবে না। তাদের গদি ছাড়তে হবে। বক্তারা বলেন, তাঁরা শহীদের রক্ত ছুঁয়ে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়ে রাজপথে নেমেছেন। ভোটারবিহীন অবৈধ সরকারের পতন না ঘটিয়ে তাঁরা বাড়ি ফিরবেন না।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন:

মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শাহ আমিনুল ইসলামের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সদস্যসচিব আক্তার হোসেন, যুবদলের সহসভাপতি কামরুল হাসান, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আলম, মহানগর বিএনপির সদস্য সাইফুল আহসান, আবদুল হালিম মৃধা, আ ন ম সাইফুল আলম প্রমুখ।

গতকাল নয়াপল্টনে নেতা-কর্মীরা ১০ তারিখের সমাবেশের স্থান জানতে জড়ো হয়েছিল উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, দূর-দূরান্ত থেকে আসা নেতা-কর্মীরা দলীয় কার্যালয়ের সামনে শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান করলেও আওয়ামী লীগের লেলিয়ে দেওয়া পুলিশ বাহিনী নির্বিচার গুলি, কাঁদানে গ্যাস ও ইটপাটকেল ছোড়ে। এতে কয়েক শ নেতা-কর্মী গুলিবিদ্ধ ও আহত হন। হাসপাতালে নেওয়ার পর মকবুল আহমেদ নামের এক নিবেদিত কর্মী নিহত হন। এ ছাড়া গতকাল রাতে রাজধানীর ওয়ারীর যুবদল নেতা ফয়সল মেহেবুবের বাড়িতে ঢুকে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা তাঁকে না পেয়ে তাঁর বৃদ্ধ বাবাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে।

বক্তারা আরও বলেন, বিএনপির ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশকে কেন্দ্র করে কেন্দ্রীয় নেতাদের দলীয় কার্যালয়ে ঢুকতে দিচ্ছে না পুলিশ। নয়াপল্টন এলাকা অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। অবৈধ সরকার কোনো কিছুর তোয়াক্কা করছে না। সাধারণ রাজনৈতিক শিষ্টাচার ধ্বংস করেছে। কিন্তু সরকারের এই দমন-পীড়ন, হত্যা, নির্যাতনে তাদের শেষ রক্ষা হবে না।

প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে বলা হয়, বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য আন্দোলন করে না। এ দেশের মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দিতে আন্দোলন করছে। জনগণ এই আন্দোলনে শামিল হয়েছে। অবৈধভাবে ক্ষমতা আঁকড়ে থাকা সরকারের পতন সমাগত। যেকোনো মূল্যে ১০ ডিসেম্বরের গণসমাবেশ সফল করার আহ্বান জানান বক্তারা।

বরিশালে বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ ঘিরে যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সদর রোডে দলীয় কার্যালয়ের আশপাশের এলাকায় সকাল থেকেই অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

গতকাল নয়াপল্টনে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। প্রাথমিকভাবে জানা যায়, নিহত ব্যক্তির নাম মকবুল আহমেদ। রক্তাক্ত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।