
কক্সবাজারের চকরিয়ায় চুরির মামলায় যুবককে গ্রেপ্তারের পর জানা গেল, ওই যুবকই এক পুলিশ সদস্যের স্ত্রীকে ধর্ষণের ঘটনার সঙ্গে জড়িত। গতকাল বুধবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে চকরিয়া পৌর এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার যুবকের নাম মো. পারভেজ ওরফে আবুল কালাম (৩৯)। তিনি চকরিয়া পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মগবাজার খামারপাড়া এলাকার মৃত মেহের আলীর ছেলে। বর্তমানে বান্দরবানের লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ইয়াংছা বাজারের মেম্বারপাড়া এলাকায় বসবাস করছেন তিনি।
পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তার যুবক পারভেজের বিরুদ্ধে চুরি-ছিনতাইয়ের অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে। একটি চুরির মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হলে তদন্তে এক পুলিশ সদস্যের ঘরে ঢুকে তাঁর স্ত্রীকে ধর্ষণের বিষয়টি উঠে আসে। ঘটনাস্থলের আশপাশের ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা যাচাই করে ও মুঠোফোনের লোকেশন সংগ্রহ করে পুলিশ নিশ্চিত হয়, গ্রেপ্তার যুবকই ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটিয়েছেন। পরে ভুক্তভোগী নারী থানায় গিয়ে ওই যুবককে শনাক্ত করেন।
পুলিশ জানায়, এক পুলিশ সদস্য স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বাসা ভাড়া করে চকরিয়ার একটি এলাকায় থাকেন। গত সোমবার দিবাগত রাত সোয়া তিনটার দিকে পুলিশ সদস্যের বাসার রান্নাঘরের জানালা দিয়ে একটি বাঁশের সাহায্যে কৌশলে মূল দরজার ছিটকিনি খুলে ঘরে প্রবেশ করেন মুখোশপরা পারভেজ। এ সময় ওই পুলিশ সদস্য নিজের কর্মস্থলে ছিলেন। ঘরে ঢুকেই পুলিশ সদস্যের স্ত্রীকে জিম্মি করে দুটো মুঠোফোন ও আড়াই হাজার নগদ টাকা ছিনিয়ে নেন ওই যুবক। এরপর তাঁর স্ত্রীকে ধর্ষণও করেন।
চকরিয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) অভিজিৎ দাস প্রথম আলোকে বলেন, পারভেজকে একটি চুরির মামলায় গ্রেপ্তারের পর পুলিশ সদস্যের বসতঘরে চুরি ও ধর্ষণের বিষয়টি জানা যায়। পরে ভুক্তভোগী নারী পারভেজকে শনাক্ত করেন। পাশাপাশি তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে দেখা যায়, পারভেজই চুরি ও ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটিয়েছেন।
এএসপি অভিজিৎ দাস বলেন, আগের একটি চুরির মামলায় তাঁকে আজ বৃহস্পতিবার বেলা দুইটার দিকে চকরিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হয়। আদালতে তাঁকে ধর্ষণসহ চুরির মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করা হয়। আদালত সিদ্ধান্ত দিলে অধিকতর তথ্যের জন্য তাঁকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।