চট্টগ্রাম নগরে ‘সন্ত্রাসী’ শহীদুল ইসলামের তিন সহযোগীর কাছ থেকে উদ্ধার অস্ত্র, টাকা গণনার যন্ত্রসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম
চট্টগ্রাম নগরে ‘সন্ত্রাসী’ শহীদুল ইসলামের তিন সহযোগীর কাছ থেকে উদ্ধার অস্ত্র, টাকা গণনার যন্ত্রসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম

চট্টগ্রামে তিন ‘সন্ত্রাসী’র কাছে পাওয়া গেল ১৩টি অস্ত্র ও টাকা গণনার যন্ত্র

চট্টগ্রাম নগরে অভিযান চালিয়ে তিনজন ‘সন্ত্রাসী’কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁদের কাছ থেকে ১৩টি দেশি-বিদেশি অস্ত্র, গুলি, মাদক, নগদ টাকা ও টাকা গণনার যন্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ বলছে, চাঁদাবাজি ও মাদক বিক্রির টাকা দ্রুত গোনার জন্য ওই যন্ত্র ব্যবহার করা হতো।

গ্রেপ্তার তিনজন হলেন মো. বেলাল, হৃদয় বড়ুয়া ও মো. আজাদ। তাঁরা চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী ও ১৯ মামলার আসামি শহিদুল ইসলাম ওরফে বুইস্যার সহযোগী। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে চান্দগাঁও, বাকলিয়া ও পাঁচলাইশ এলাকায় একযোগে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করে পুলিশের সোয়াট দল ও থানা-পুলিশ।

চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহেদুল কবির প্রথম আলোকে বলেন, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের কাছ থেকে ১৩টি দেশি-বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র, ১৩টি ম্যাগাজিন, ৫৮টি বুলেট, সাড়ে ৩ হাজার ইয়াবা, কিছু গাঁজা, সাতটি সিসি ক্যামেরা, একটি ড্রোন, নগদ ৪ লাখ ২০ হাজার টাকা ও টাকা গণনার যন্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।

ওসি আরও বলেন, সন্ত্রাসী বুইস্যা ও তাঁর সহযোগীরা চান্দগাঁও ও পাঁচলাইশ এলাকায় ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও গুলি ছোড়ার মতো ঘটনা ঘটাতেন। বুইস্যা শুলকবহর এলাকার একটি স’মিলের পাশে ভবনের কক্ষকে আস্তানা হিসেবে ব্যবহার করতেন। সেখানে রাখা ছিল টাকা গণনার যন্ত্র। সাধারণত ব্যাংকে ব্যবহৃত এই মেশিন দিয়ে চাঁদা ও মাদক বিক্রির টাকা গোনা হতো।

পুলিশ জানায়, গত ১১ জুলাই বুইস্যার ১১ সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তাঁদের কাছ থেকেও দেশি অস্ত্র, গুলি ও খোসা উদ্ধার করা হয়, যার মধ্যে থানা থেকে লুট হওয়া গুলিও ছিল। গত বছরের ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর চট্টগ্রামের বিভিন্ন থানায় অস্ত্র, গুলি লুটের বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটে।

পুলিশের দাবি, বুইস্যা ও তাঁর সহযোগীরা শুলকবহর এলাকার যে বাসাকে আস্তানা হিসেবে ব্যবহার করতেন, সেটি ছিল তাঁদের ‘টর্চার সেল’। চাঁদা না দিলে সেখানে ধরে নিয়ে নির্যাতন করা হতো।