
সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার শ্রীপুর কুড়িকাউনিয়া নামক স্থানে কপোতাক্ষ নদে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বেড়িবাঁধে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। আজ শুক্রবার ভোররাতে হঠাৎ করে বাঁধের ২০০ ফুটের মতো স্থানে ভাঙন দেখা দেয়। দ্রুত সংস্কার না করা গেলে বাঁধ ভেঙে নদের লবণপানিতে পাঁচটি গ্রামের ফসলের মাঠ, মাছের ঘের, বাড়িঘর ও পুকুর তলিয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয় ব্যক্তিরা।
সাতক্ষীরার পূর্ব-দক্ষিণে আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়ন। ৩৩ দশমকি ৮৯ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এ ইউনিয়নের লোকসংখ্যা ৩৬ হাজার ৫১৯। উপকূলীয় এ ইউনিয়নের তিন দিকে পাউবোর বেড়িবাঁধ দিয়ে ঘেরা। প্রতিবছর একাধিকবার বেড়িবাঁধ ভেঙে ইউনিয়নের কোনো না কোনো এলাকা তলিয়ে থাকে লবণপানিতে। মানুষ ঘুরে দাঁড়ানোর আগেই আবার বাঁধ ভাঙে। ২০০৯ সালে ঘূর্ণিঝড় আইলায় ঘরবাড়িহারা তিন শতাধিক পরিবার এখনো বাড়িঘরে ফিরতে পারেনি।
প্রতাপনগর কুড়িকাউনিয়া গ্রামের আবদুল খালেক জানান, হঠাৎ করে শুক্রবার ভোর সাড়ে চারটার দিকে প্রতাপনগর ইউপির শ্রীপুর কুড়িকাউনিয়া গ্রামের লঞ্চঘাটের দক্ষিণ পাশে কপোতাক্ষ নদের বেড়িবাঁধে হঠাৎ করে ভাঙন দেখা দেয়। ভাঙন দ্রুত বৃদ্ধি পেয়ে ২০০ ফুট ছাড়িয়ে গেছে। দ্রুত সংস্কার করা না গেলে বাঁধ ভেঙে নদের লবণপানিতে প্রতাপনগর ইউপির শ্রীপুর কুড়িকাউনিয়া, দৃষ্টিনন্দন, ৪ নম্বর ও ৫ নম্বর ওয়ার্ড ছাড়াও পদ্মপুকুর ইউপির বন্যতলা গ্রাম গ্রামের ধান, শাকসবজি, পুকুর ও ঘরবাড়ি তলিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন। ভাঙন দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন।
প্রতাপনগর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য শহিদুল্লাহ সানা জানান, শ্রীপুর কুড়িকাউনিয়া এলাকার বাঁধে শুক্রবার ভোরের দিকে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দেয়। ভাঙন দেখে স্থানীয় ব্যক্তিরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। ইতিমধ্যে বিষয়টি পাউবোর আশাশুনি ও সাতক্ষীরার কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে।
পাউবোর আশাশুনিতে কর্মরত উপবিভাগীয় প্রকৌশলী রাশিদুল ইসলাম বলেন, তিনি বিষয়টি শুনে ঘটনাস্থলে রওনা হয়েছেন। ভাঙনের ভয়াবহতা না দেখে বলা যাচ্ছে না। তবে ভাঙনরোধে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেবেন।