ভারী বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে চট্টগ্রামের নিচু এলাকা। আজ সকালে নগরের আকবরশাহ এলাকার সড়ক কোমর পানিতে তলিয়ে যায়। এ সময় জরুরি কাজে বের হওয়া মানুষজন বিপাকে পড়েন
ভারী বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে চট্টগ্রামের নিচু এলাকা। আজ সকালে নগরের আকবরশাহ এলাকার সড়ক কোমর পানিতে তলিয়ে যায়। এ সময় জরুরি কাজে বের হওয়া মানুষজন বিপাকে পড়েন

ভারী বৃষ্টিতে ডুবেছে চট্টগ্রাম নগরের নিচু এলাকা

ভারী বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে চট্টগ্রাম শহরের নিচু এলাকা। গতকাল বুধবার রাত থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টি আজ বৃহস্পতিবার সকালেও থামেনি। একটানা ভারী বৃষ্টিতে অপেক্ষাকৃত উঁচু এলাকাগুলোতেও বৃষ্টির পানি জমতে দেখা গেছে। এ ছাড়া নিচু এলাকাগুলোয় হাঁটু থেকে কোমরসমান পানি ছিল বেশ কয়েক ঘণ্টা। এ সময় বাড়ি থেকে কর্মক্ষেত্রের পথে বের হওয়া মানুষ বিপাকে পড়েন। অনেকে যানবাহন না পেয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। অনেক এলাকায় পানিতে বিকল হয়ে পড়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশা।

চট্টগ্রাম আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গতকাল রাত থেকে আজ সকাল ৯টা পর্যন্ত ১১৪ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে চট্টগ্রামে। এর মধ্যে আজ সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত ৬২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এই পরিমাণ বৃষ্টিকে ভারী বৃষ্টি বলছে আবহাওয়া দপ্তর।

সরেজমিন দেখা গেছে, নগরের আকবরশাহ, ঝাউতলা, দুই নম্বর গেট, মুরাদপুর, ষোলশহর, রহমান নগর, চকবাজার, ডিসি সড়ক, কে বি আমান আলী সড়ক, বাকলিয়া, বহদ্দারহাট, মেহেদীবাগ, চান্দগাঁও আবাসিক এলাকা, প্রবর্তক মোড়, কাপাসগোলা, কাতালগঞ্জ, আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক, হালিশহরসহ বিভিন্ন এলাকায় গোড়ালি থেকে হাঁটুসমান পানিতে রাস্তা তলিয়ে গেছে।

নগরের চান্দগাঁও এলাকার বাসিন্দা ইয়াসিন আরাফাত জানান, রাত থেকে বৃষ্টির কারণে নিচু সড়কগুলো ডুবে গেছে। নালাগুলো বদ্ধ হওয়ায় পানি নিষ্কাশিত হয়নি। বৃষ্টির পানি নালা উপচে সড়কে উঠে গেছে। ব্যক্তিগত কাজে বের হওয়ার কথা থাকলেও সম্ভব হয়নি।

সকালে জরুরি কাজে বের হতে গিয়ে পানিতে আটকে পড়েন নগরে চকবাজার এলাকার বাসিন্দা আরিফুল ইসলাম। তিনি বলেন, গলির সড়কগুলোয় হাঁটুর কাছাকাছি পানি উঠেছে। কোনোভাবে পানি মাড়িয়ে বাসা থেকে বের হয়ে এসেছেন তিনি।

ভারী বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে চট্টগ্রামের নিচু এলাকা। আজ সকালে নগরের আকবরশাহ এলাকার সড়ক কোমর পানিতে তলিয়ে যায়। এ সময় জরুরি কাজে বের হওয়া মানুষজন বিপাকে পড়েন

জানা গেছে, আগামী পাঁচ দিন বৃষ্টির প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে। আবহাওয়া পূর্বাভাস বলছে, মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় রয়েছে। এর প্রভাবে ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারী ও অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।

নগরের পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ মো. আলী আকবর খান প্রথম আলোকে বলেন, আজ সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত রেকর্ড হয়েছে ৬২ মিলিমিটার, যা ভারী বৃষ্টিপাত। বৃষ্টি আরও কিছুদিন থাকতে পারে।