Thank you for trying Sticky AMP!!

নিখোঁজ ব্যাংক কর্মকর্তা রাজীব আহমেদ

কুষ্টিয়ায় নিখোঁজের ১১ দিনেও ব্যাংক কর্মকর্তার সন্ধান পায়নি পরিবার

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে নিখোঁজের ১১ দিনেও এক ব্যাংক কর্মকর্তার সন্ধান পায়নি পরিবার। গত ২২ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কুমারখালী পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের শেরকান্দি এলাকা থেকে রাজীব আহমেদ (৪০) নামের ওই কর্মকর্তা নিখোঁজ হয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্বজনেরা।

রাজীব আহমেদ পূবালী ব্যাংকের কুমারখালী শাখার জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা। তিনি জেলার ভেড়ামরা উপজেলার বামনপাড়া গ্রামের ইব্রাহিম আলীর ছেলে। এ ঘটনায় ২২ ডিসেম্বর রাতে কুমারখালী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) দায়ের করেন রাজীবের স্ত্রী রায়হানা পারভীন।

জিডির তদন্তকারী কর্মকর্তা কুমারখালী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাইফুল ইসলাম বলেন, ঘটনার তদন্ত চলছে। এখনই বিস্তারিত বলা যাচ্ছে না।

রায়হানা বেগম বলেন, দুই সন্তান নিয়ে তিনি মাসখানেক ধরে তাঁর বাবার বাড়ি খোকসাতে আছেন। তাঁর স্বামী কুমারখালী শেরকান্দি এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে নিয়মিত ব্যাংকে যাওয়া–আসা করেন। ২১ ডিসেম্বর রাতে রাজীব মুঠোফোনে তাঁকে জানিয়েছিলেন ২২ ডিসেম্বর তিনি (রাজীব) গ্রামের বাড়ি ভেড়ামারা যাবেন। এরপর ২২ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তাঁর সঙ্গে কথা বলে গ্রামের বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন। কিন্তু বের হওয়ার ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর থেকে স্বামীর ফোন বন্ধ পান তিনি।
রায়হানা বেগম বলেন, ওই দিন বিকেল থেকেই তিনি তাঁর স্বামীকে স্বজন, বন্ধুসহ সব স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও সন্ধান পাননি। পরে থানায় জিডি করেছেন তিনি। তাঁর ভাষ্য, স্বামী রাজীবের কোনো শত্রু ছিল না। তবে তাঁদের সংসার জীবনে কিছুটা পারিবারিক কলহ ছিল।

ব্যাংক কর্মকর্তার বড় ভাই সাইদুল ইসলাম বলেন, নিখোঁজের খবর পেয়ে সম্ভাব্য সব স্থানে খোঁজাখুঁজি করছেন তাঁরা। থানায়ও গিয়েছেন। তবু ভাইকে পাননি তিনি। তাঁর ভাষ্য, স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর ভাইয়ের পারিবারিক কলহ ছিল।

পূবালী ব্যাংক, কুমারখালী শাখার ব্যবস্থাপক আবদুল হামিদ বলেন, রাজীব খুব ভদ্র, নম্র, ভালো মানুষ। অফিসে কারও সঙ্গে কোনো মনোমালিন্য ছিল না। কথা কম বলতেন। গত ২০ ডিসেম্বর অফিসে শেষ এসেছিলেন রাজীব।