
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, ‘বিচার, সংস্কার, নির্বাচন এই মুহূর্তে বাংলাদেশের প্রধান জাতীয় স্বার্থ। বিচার ও সংস্কারকে নির্বাচনের মুখোমুখি দাঁড় করানো কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হবে না এবং নির্বাচন—যেটা আমাদের সংস্কার সম্পন্ন করার জন্যই দরকার, বিচারকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য দরকার। গণতান্ত্রিক উত্তরণের মাধ্যমেই বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে।’
আজ শুক্রবার সকালে গণসংহতি আন্দোলনের ২৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। এ সময় তিনি মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে ২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থান পর্যন্ত সব গণতান্ত্রিক সংগ্রামে অংশ নেওয়া জনগণের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘নির্বাচনের মাধ্যমে সংস্কারের যে জায়গায় আমরা পৌঁছেছি, একটি জাতীয় সনদ তৈরি হচ্ছে—সেই সনদ আমাদের বাস্তবায়ন করতে হবে। আমরা মনে করি, জাতীয় সনদের আইনি বাধ্যবাধকতা ও তার বাস্তবায়নের পথ নিয়ে আমরা অতি দ্রুত ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারব, নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারব এবং এর জন্য সব আন্দোলনকারী রাজনৈতিক দলের মধ্যে ঐক্য তৈরি হবে।’
পুরোনো ফ্যাসিবাদী কায়দায় অনেকেই নিজেদের মত অন্যদের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন উল্লেখ করে জোনায়েদ সাকি বলেন, অনেকে নিজেদের মতটাই একমাত্র—এই মানসিকতা নিয়ে নানাভাবে জনগণের ওপর চড়াও হচ্ছেন এবং একটি মবের রাজত্ব কায়েমে সহায়তা করছেন। চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানে স্বৈরাচারী সরকারের পতন ঘটলেও ফ্যাসিস্ট ব্যবস্থা এখনো পুরোপুরি উচ্ছেদ হয়নি।
জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘আমরা মনে করি, একদিকে যেমন আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের নাম নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের সব আকাঙ্ক্ষার বিপরীতে গিয়ে ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছে, তেমনি কোনো রকম দক্ষিণপন্থী ফ্যাসিবাদী উত্থান বা তার নানা রকম তৎপরতাও জনগণের আকাঙ্ক্ষার বিরুদ্ধে।’ সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থেকে আইন অনুযায়ী গণতান্ত্রিক অধিকার বজায় রেখে ফ্যাসিবাদীদের সব ষড়যন্ত্র রুখে দেওয়ার আহ্বান জানান জোনায়েদ সাকি।
এ সময় গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।