বিএসএফের গুলিতে আহত তরুণকে ধরে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় সীমান্ত এলাকায় মানুষের ভিড়। গত বুধবার হাতীবান্ধা উপজেলার সিংগীমারী ইউনিয়নের সীমান্ত এলাকায়
বিএসএফের গুলিতে আহত তরুণকে ধরে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় সীমান্ত এলাকায় মানুষের ভিড়। গত বুধবার হাতীবান্ধা উপজেলার সিংগীমারী ইউনিয়নের সীমান্ত এলাকায়

হাতীবান্ধা সীমান্তে গুলিতে নিহত বাংলাদেশি তরুণের লাশ ফেরত দিয়েছে বিএসএফ

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে আহত বাংলাদেশি হাসিবুল ইসলাম (২২) ভারতের কোচবিহার জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে বিজিবি ও পুলিশের কাছে লাশটি হস্তান্তর করে বিএসএফ।

এর আগে গত বুধবার দুপুরে উপজেলার মধ্য সিঙ্গিমারী সীমান্তের ৮৯৪ নম্বর মেইন পিলালের সাব ৬ এস পিলার লাগোয়া এলাকায় বিএসএফের গুলিতে হাসিবুল ইসলাম আহত হন। বিএসএফের সদস্যরা তাঁকে ধরে নিয়ে গেছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বুধবার রাত আটটায় ভারতের কোচবিহারের এমজেএন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান হাসিবুল।

বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, হাতীবান্ধা উপজেলার সিঙ্গিমারী সীমান্তের মেইন পিলার ৮৮১ নম্বর ও উপপিলার ১৩–এর ভারতের কোচবিহার জেলার শীতলকুচি থানার সীমান্ত ও জেলার পাটগ্রাম উপজেলার জোংড়া ইউনিয়নের খারিজা জোংড়া সীমান্ত দিয়ে হাসিবুলের লাশ হস্তান্তর করে বিএসএফ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ভারতের ১৫৭ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের মহেশমারী ক্যাম্পের কমান্ডার রাজ কুমার, ৬১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের খারিজা জোংড়া ক্যাম্পের কমান্ডার সুবেদার রেজাউল ইসলাম ও পাটগ্রাম থানার উপপরিদর্শক (এসআই) তাজরুল ইসলাম, নিহত তরুণের বাবা জাহিদুল ইসলাম ও চাচা রশিদুল ইসলাম। রাতেই নিহতের বাবা ও চাচার নিকট হাসিবুলের লাশ হস্তান্তর করে থানা–পুলিশ।

পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার দুপুরে সীমান্ত এলাকায় নিজ জমিতে ঘাস কাটতে যান হাসিবুল ইসলাম। এ সময় ভারতের ১৫৭ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের ফুলবাড়ি ক্যাম্পের টহল দলের বিএসএফ সদস্যরা বাংলাদেশ অংশে প্রবেশ করে হাসিবুলকে ধরে ভারতের কাছাকাছি অংশে নিয়ে যান। পরে তাঁকে লক্ষ্য করে কয়েকটি গুলি ছোড়ে। গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসিবুল মাটিতে পড়ে যান। এ সময় বিএসএফ সদস্যরা তাঁকে মারধর করে টেনেহিঁচড়ে ভারতের অভ্যন্তরে নিয়ে যান।

পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুজ্জামান সরকার বলেন, উভয় দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতিতে গতকাল রাতে হাসিবুলের লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে রাতেই তাঁর লাশ বাবা ও চাচাকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়।