মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলায় যমুনা নদী এলাকা
মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলায় যমুনা নদী এলাকা

দৌলতপুরে যমুনায় গোসলে নেমে ডুবে যাওয়া তরুণীর লাশ উদ্ধার, ২ শিশু এখনো নিখোঁজ

মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলায় যমুনা নদীতে গোসল করতে গিয়ে নিখোঁজ বর্ষা আক্তার (১৮) নামের এক তরুণীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজের দুই দিন পর আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার বাঘুটিয়া ইউনিয়নের ইসলামপুর এলাকা দিয়ে ভেসে আসা লাশটি স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার দুপুরে বর্ষা আক্তার ও লামিয়া আক্তার নামের এক শিশু বাড়ির পাশের যমুনা নদীর একটি শাখায় গোসলে নেমে নিখোঁজ হন। অন্যদিকে, একই দিন দুপুরে জিয়নপুর ইউনিয়নের বন্যা ঘাট এলাকায় তায়েবা নামের আরেক শিশু নদীতে গোসল করতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। নিখোঁজ লামিয়া ও তায়েবাকে এখনো পাওয়া যায়নি।

বর্ষা আক্তার উপজেলার বাচামারা ইউনিয়নের বাচামারা পূর্বপাড়া গ্রামের আবদুল কাদেরের মেয়ে। আর এখন পর্যন্ত নিখোঁজ থাকা দুই শিশু হলো একই গ্রামের রহিজ ব্যাপারীর মেয়ে লামিয়া আক্তার (১১) এবং জিয়নপুর ইউনিয়নের বরটিয়া গ্রামের আবদুস সালামের মেয়ে তায়েবা আক্তার (১২)।

দৌলতপুর থানা-পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, যমুনা নদীর মাঝে বাচামারা ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এ চরটির পাশে যমুনার শাখা নদীতে পানি বাড়ায় প্রচণ্ড স্রোত বইছে। বুধবার বেলা দুইটার দিকে বাচামারা পূর্বপাড়া গ্রামে বাড়ির কাছে যমুনার শাখা নদীতে গোসল করতে গিয়ে বর্ষা ও লামিয়া পানিতে ডুবে নিখোঁজ হন। একই দিন দুপুরে উপজেলার জিয়নপুর ইউনিয়নের বন্যা ঘাট এলাকায় যমুনা শাখা নদীতে গোসল করতে গিয়ে তায়েবা নিখোঁজ হয়।

খবর পেয়ে বুধবার বিকেলে আরিচা ফায়ার স্টেশনের ডুবুরি দলের দুটি ইউনিট নিখোঁজ তিনজনকে উদ্ধারে কাজ শুরু করে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চালানো হলেও কারও সন্ধান পাওয়া যায়নি। আজ সকালে বর্ষার লাশ পাওয়া গেলেও বাকি দুই শিশুর খোঁজ মেলেনি।

বাঘুটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, আজ সকাল সাতটার দিকে বাঘুটিয়া ইউনিয়নের ইসলামপুর এলাকায় যমুনা নদীতে এক তরুণীর লাশ ভাসতে দেখেন স্থানীয় লোকজন। তাঁরা লাশটি উদ্ধার করেন। খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে বর্ষার লাশ শনাক্ত করেন।

দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ আর এম আল-মামুন প্রথম আলোকে বলেন, নদীতে ডুবে নিখোঁজ হওয়া তরুণীর পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ নেই। পরিবারের সদস্যরা লাশ বাড়িতে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। গোসলে নেমে নিখোঁজ অপর দুই শিশুর খোঁজে ফায়ার সার্ভিস দুই দিন উদ্ধার অভিযান চালালেও তাদের সন্ধান পাওয়া যায়নি।