মহেশখালীর মাতারবাড়ী কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র
মহেশখালীর মাতারবাড়ী কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র

এক মাস পর মাতারবাড়ী তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র পুনরায় চালু

এক মাস বন্ধ থাকার পর আবারও চালু হয়েছে কক্সবাজারের দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীর মাতারবাড়ী তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র। গতকাল শনিবার বিকেলে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রে উৎপাদন কার্যক্রম শুরু হয়।

এর আগে কয়লাসংকটের কারণে গত ৩১ অক্টোবর থেকে ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াটের দুই ইউনিটের বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। তবে কার্যক্রম চালু রাখতে বিদ্যুৎকেন্দ্র বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান কোল পাওয়ার এক বছরের জন্য ৩৫ লাখ মেট্রিক টন কয়লা আমদানি করার সিদ্ধান্ত নেয়। গত বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ইন্দোনেশিয়ার পতাকাবাহী ১টি জাহাজ ৭০ হাজার টন কয়লা নিয়ে বিদ্যুৎকেন্দ্রের জেটিতে ভেড়ে। আজ রোববার ৬৬ হাজার মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে ইন্দোনেশিয়া থেকে আরও একটি জাহাজ মাতারবাড়ীতে আসবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

এ সম্পর্কে বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেডের মাতারবাড়ী সাইট অফিসের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (পরিচলন) মনোয়ার হোসেন মজুমদার প্রথম আলোকে বলেন, ‘কয়লাসংকটের কারণে এক মাস ধরে এই কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ ছিল। শনিবার সোয়া চারটার দিকে আবারও বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়েছে। এতে প্রথম ইউনিট ৬০০ মেগাওয়াট ধারনক্ষমতা থেকে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত ১৮০ ইউনিট উৎপাদন করে জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছে।’

বঙ্গোপসাগরের কূল ঘেঁষে মাতারবাড়ীর ১ হাজার ৬০০ একর জমিতে নির্মাণ করা হয়েছে ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট ধারণক্ষমতার এই তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র। বিদ্যুৎকেন্দ্রটির প্রথম ইউনিট গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর ও চলতি বছরের ২৮ আগস্ট দ্বিতীয় ইউনিট বাণিজ্যিক উৎপাদনে যায়। কয়লাসংকটের কারণে অক্টোবরের দ্বিতীয় সপ্তাহে বন্ধ হয়ে যায় প্রথম ইউনিটের ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন। এরপর একই কারণে ৩১ অক্টোবর বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায় দ্বিতীয় ইউনিটের আরও ৬০০ মেগাওয়াটের। এর আগে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে জুলাইতে দুই সপ্তাহ ওই বিদ্যুৎকেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ ছিল।