ঘন কুয়াশায় চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে যাত্রীবাহী দুই লঞ্চের সংঘর্ষে চারজন নিহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে হাইমচর উপজেলা ও হরিণা এলাকার মাঝামাঝি স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
পরে দুর্ঘটনাকবলিত লঞ্চের হতাহত যাত্রীদের ঢাকার সদরঘাটে আনা হয়। এ সম্পর্কে আজ শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে সদরঘাট নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহাগ রানা বলেন, ‘লঞ্চে সংঘর্ষের ঘটনায় চারজনের লাশ পাওয়া গেছে। লাশগুলো সদরঘাট টার্মিনালে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশগুলো মিটফোর্ড হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।’
এর আগে বেলা পৌনে ১১টার দিকে ওসি সোহাগ রানা দুই লঞ্চে সংঘর্ষের ঘটনায় সাতজন নিহত হওয়ার তথ্য জানিয়েছিলেন।
চাঁদপুর নৌ অঞ্চলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমতিয়াজ আহমেদের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, এমভি অ্যাডভেঞ্চার–৯ লঞ্চটি ঢাকা থেকে বরিশাল ও ঝালকাঠির উদ্দেশে যাচ্ছিল। অপর দিকে এমভি জাকির সম্রাট-৩ লঞ্চটি ভোলা থেকে যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে আসছিল। গতকাল দিবাগত রাত ১টা ৩৮ মিনিটের দিকে চাঁদপুরের হাইমচর এলাকায় ঘন কুয়াশার মধ্যে মঞ্চ দুটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
হতাহত ব্যক্তিরা এমভি জাকির সম্রাট-৩ লঞ্চের যাত্রী। নিহত চারজন হলেন ভোলার লালমোহন উপজেলার কাজিরাবাদ এলাকার সিরাজুল ব্যাপারীর ছেলে আবদুল গনি (৩৮), একই এলাকার কালু খাঁর ছেলে মো. সাজু (৪৫), কচুখালী গজারিয়া এলাকার মো. মিলনের স্ত্রী মোসা. রিনা (৩৫) এবং চরফ্যাশন উপজেলার আহমদপুর এলাকার আমির হোসেনের ছেলে মো. হানিফ (৬০)।
আহত তিনজন হলেন লালমোহন উপজেলার মতলব ব্যাপারীর ছেলে মো. শাহাদত, আবদুল আজিজের ছেলে মোহাম্মদ মিনা (৪৫) ও চরফ্যাশন উপজেলার মো. হানিফের স্ত্রী মোসা. রহিমা (৪৫)।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, আজ সকাল আনুমানিক ৯টা ৪৫ মিনিটে এমভি জাকির সম্রাট-৩ লঞ্চটি ঢাকা সদরঘাট নৌ টার্মিনালে পৌঁছায়। সদরঘাট নৌ থানার পুলিশ নিহত ব্যক্তিদের লাশ উদ্ধার করে এবং আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসার ব্যবস্থা নেয়।
অন্যদিকে এমভি অ্যাডভেঞ্চার–৯ লঞ্চটি সকাল আনুমানিক ৯টা ১৫ মিনিটে ঝালকাঠি নৌঘাটে পৌঁছায়। তখন লঞ্চটির চারজন কর্মীকে আটক করা হয়।
সংশোধনী
সদরঘাট নৌ থানার ওসি সোহাগ রানা আজ বেলা পৌনে ১১টার দিকে জানিয়েছিলেন, দুই লঞ্চের সংঘর্ষে সাতজন নিহত হয়েছেন। পরে দুপুর ১২টার দিকে তিনি জানান, এ ঘটনায় চারজন নিহত হয়েছেন।