নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে টেনিস কোর্ট নির্মাণের জন্য কাটা হচ্ছে গাছ। গতকাল বিকেলে
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে টেনিস কোর্ট নির্মাণের জন্য কাটা হচ্ছে গাছ।  গতকাল বিকেলে

নোবিপ্রবি

গাছ কেটে টেনিস কোর্ট, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) টেনিস কোর্ট নির্মাণের জন্য ২২টি গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। এর মধ্যে ১৭টি ঝাউগাছ। গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এসব গাছ কাটা হয়। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

গতকাল বিকেলে সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনের পাশে ও ভিআইপি অতিথি ভবনের উত্তর দিক থেকে গাছ কাটছেন শ্রমিকেরা। এসব গাছের আনুমানিক বয়স ১৫ বছর। উচ্চতা ২০ থেকে ৩০ ফুট। জানতে চাইলে শ্রমিকেরা জানান, শুক্রবারের মধ্যেই এসব গাছ কেটে ফেলতে তাঁদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় জ্যেষ্ঠ শিক্ষকদের অভিযোগ, ক্যাম্পাসে কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে পানি জমে থাকে, শ্রেণিকক্ষের সংকটও প্রকট, সেখানে কোটি টাকা ব্যয় করে টেনিস কোর্ট নির্মাণ অপ্রয়োজনীয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকেও গাছ কাটার সমালোচনা করেছেন শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নেছার উদ্দিন প্রশাসনকে উদ্দেশ করে লিখেছেন, ‘১০ হাজার শিক্ষার্থীর খেলার মাঠ উন্নয়ন ও জিমনেসিয়াম তৈরি করার কথা বললে বরাদ্দ থাকে না। আর এদিকে অর্ধকোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে টেনিস কোর্ট। আগে মৌলিক প্রয়োজন পূরণ করুন।’

জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী জামাল উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, টেনিস কোর্ট নির্মাণের জন্য কিছু গাছ কাটা হচ্ছে। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন রয়েছে। উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হলে কখনো কখনো গাছ কাটতে হয়। প্রকল্পের কাজ যথাসময়ে শেষ না করলে বরাদ্দ ফেরত নেওয়া হতে পারে। এ কারণে তাঁরা জরুরিভিত্তিতে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের কাজ শুরু করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার তামজিদ হোছাইন চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গাছগুলো কাটার অনুমতি দিয়েছে।

জানতে চাইলে নোয়াখালী উপকূলীয় বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আবু ইউসুফ বলেন, সরকারি প্রতিষ্ঠানের গাছ কাটতে হলে জেলা বন কমিটির অনুমোদন নিতে হয়। আবার অনেকে গাছের মূল্য নির্ধারণের জন্য বন বিভাগকে চিঠি দিয়ে থাকে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কোন নিয়ম অনুসরণ করে গাছগুলো কেটেছে তা জানা নেই।