ঈদে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার নির্বিঘ্ন রাখতে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া এবং মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌপথে ছোট-বড় ১৭টি ফেরি ও ২০টি লঞ্চ চলাচল করবে। সেই সঙ্গে ঈদের আগের ৩ দিন ও পরের ৭ দিন বাল্কহেড চলাচল বন্ধ থাকবে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে চার স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থার পাশাপাশি ভ্রাম্যমাণ আদালত সক্রিয় থাকবে।
আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে রাজবাড়ী জেলা প্রশাসক সুলতানা আক্তার নিজ কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত এক সমন্বয় সভায় এসব তথ্য জানিয়েছেন। জেলা প্রশাসনের আয়োজনে আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম বলেন, ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানির পশুবাহী যানবাহনগুলো রাজধানীসহ বিভিন্ন অঞ্চলে ছুটছে। কয়েক দিন পর পশুবাহী গাড়ির সংখ্যা আরও বাড়বে। দৌলতদিয়া দিয়ে ফেরি পারাপারের সময় গরুর সঙ্গে থাকা রাখালদের কাছ থেকেও ভাড়া বাবদ ৪০ টাকা করে আদায় করা হয়। এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিসির নজরে এনে করণীয় নিয়ে জানানো হয়।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া কার্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন বলেন, ঘাট ইজারাদার কর্তৃপক্ষ শুধু খুচরা যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়া আদায় করতে পারবে। এ ছাড়া বাসযাত্রী, ট্রাকের যাত্রী বা গরুর রাখাল, ব্যাপারী কারও কাছ থেকে ভাড়া আদায়ের সুযোগ নেই। ঈদ প্রস্তুতি হিসেবে দৌলতদিয়ায় ৩, ৪ ও ৭ নম্বর—এই ৩টি ঘাট সচল থাকছে। বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ায় প্রয়োজনে আরও একটি ঘাট প্রস্তুত করা হবে। এ রুটে ছোট-বড় ১৭টি ফেরি সার্বক্ষণিক সচল থাকবে।
জেলা প্রশাসক সুলতানা আক্তার বলেন, ‘ঈদে ঘাট এলাকায় বাড়তি আলোর ব্যবস্থা, শৌচাগার, বিশ্রামাগার, মেডিকেল দলসহ অন্য বিষয়ে প্রশাসনের অতিরিক্ত নজরদারি থাকবে। মৌসুমি কাউন্টার খুলে যাত্রীদের থেকে বাড়তি টাকা আদায়, মাইক্রোবাস থেকে চাঁদাবাজি, ফেরিতে জুয়ার মতো অপরাধমূলক কার্যক্রম শক্ত হাতে দমন করা হবে। প্রয়োজনে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে সাজা নিশ্চিত করা হবে।’