বিকেল ৪টায় জেলা বিএনপির ব্যানারে একটি শোভাযাত্রা বের হয়। এতে নেতৃত্ব দেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মোদাররেছ আলী ও সদস্যসচিব এ কে এম কিবরিয়া
বিকেল ৪টায় জেলা বিএনপির ব্যানারে একটি শোভাযাত্রা বের হয়। এতে নেতৃত্ব দেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মোদাররেছ আলী ও সদস্যসচিব এ কে এম কিবরিয়া

ফরিদপুরে তিন অংশে বিভক্ত হয়ে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্‌যাপন

ফরিদপুরে জেলা বিএনপির নামে দুটি এবং ফরিদপুর মহানগর বিএনপির এক ভাগসহ মোট তিন ভাগে বিভক্ত হয়ে দলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্‌যাপন করেছে বিএনপি। আজ সোমবার বিকেল ৪টা থেকে পৌনে ৫টার মধ্যে ফরিদপুর শহরে আলাদা আলাদাভাবে সমাবেশ ও শোভাযাত্রা করে বিএনপির তিনটি অংশ।

বিকেল ৪টার দিকে শহরের ঝিলটুলী মহল্লার কাঠপট্টি এলাকায় অবস্থিত জেলা বিএনপির কার্যালয়ের নিচ থেকে জেলা বিএনপির ব্যানারে শোভাযাত্রা বের হয়। এতে নেতৃত্ব দেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মোদাররেছ আলী ও সদস্যসচিব এ কে এম কিবরিয়া। এই শোভাযাত্রা থানা রোড জনতা ব্যাংকের মোড়, আলীপুর মোড় হয়ে আলীপুর গোরস্তান মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।

বিকেল সোয়া ৪টায় জেলা বিএনপির ব্যানারে আরেকটি শোভাযাত্রা বের হয়। এতে নেতৃত্ব দেন জেলা বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আফজাল হোসেন ও যুগ্ম আহ্বায়ক সৈয়দ জুলফিকার হোসেন

বিকেল সোয়া ৪টার দিকে জেলা বিএনপির ব্যানারে আরেকটি শোভাযাত্রা বের হয় মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট স্কুলের সামনে মুজিব সড়ক থেকে। এ শোভাযাত্রায় নেতৃত্ব দেন জেলা বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আফজাল হোসেন ও যুগ্ম আহ্বায়ক সৈয়দ জুলফিকার হোসেন। এ শোভাযাত্রা শহরের জনতা ব্যাংকের মোড় গিয়ে শেষ হয়।

ফরিদপুর মহানগর বিএনপির ব্যানারে বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে আরেকটি মিছিল বের হয় শহরের ব্রাহ্মসমাজ সড়ক থেকে। এ শোভাযাত্রায় নেতৃত্ব দেন জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক নায়াব ইউসুফ ও জেলা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এ এফ এম কাইয়ুম। এ শোভাযাত্রা জেনারেল হাসপাতালের মোড় হয়ে মুজিব সড়ক ধরে সুপারমার্কেটের সামনে দিয়ে জনতা ব্যাংকের মোড় হয়ে আলীপুর গোরস্তান এলাকায় গিয়ে শেষ হয়।

বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে মহানগর বিএনপির উদ্যোগে একটি শোভাযাত্রা বের হয়। এতে নেতৃত্ব দেন জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক নায়াব ইউসুফ ও জেলা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এ এফ এম কাইয়ুম

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেওয়ার কথা ছিল বিএনপির কেন্দ্রীয় সহসভাপতি এবং ফরিদপুর বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত দল পুনর্গঠন–সংক্রান্ত সাংগঠনিক দলের প্রধান আসাদুজ্জামান রিপনের। কিন্তু তিনি ফরিদপুরে কোনো কর্মসূচিতে যোগ দেননি।

এ বিষয়ে জেলা বিএনপির সদস্যসচিব এ কে এম কিবরিয়া বলেন, ফরিদপুরের কর্মসূচিতে আসাদুজ্জামানের অংশ নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তিনি কেন আসেননি, তা তাঁর জানা নেই। তিনি যে আসবেন না, তা–ও তাঁদের জানানো হয়নি।

জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সৈয়দ জুলফিকার হোসেন বলেন, জেলা বিএনপি ভাগাভাগি করে অনুষ্ঠান করছে, এই খবর জেনেই হয়তো আসাদুজ্জামান ফরিদপুরের কোনো অনুষ্ঠানে যোগদান করেননি।