চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় দুর্বৃত্তের হামলায় আহত ভারপ্রাপ্ত ইউপি চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা মাহবুবুর রহমান। আজ সকালে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় দুর্বৃত্তের হামলায় আহত ভারপ্রাপ্ত ইউপি চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা মাহবুবুর রহমান। আজ সকালে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে

চুয়াডাঙ্গায় হেলমেট পরে রামদা নিয়ে বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে জখম

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার কুমারী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা মাহবুবুর রহমানকে (৫৪) ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। গতকাল শনিবার রাতে আলমডাঙ্গা শহরের কাপড়পট্টিতে এক ব্যক্তি হেলমেট পরে রামদা নিয়ে প্রকাশ্যে তাঁর ওপর হামলা চালায়।

আহত মাহবুবুরের বাড়ি কুমারী ইউনিয়নের হাড়গাড়ি গ্রামে। তিনি গত ২০ নভেম্বর থেকে ওই ইউপিতে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন। এ ছাড়া উপজেলা বিএনপির ত্রাণ ও পুনর্বাসনবিষয়ক সম্পাদক ও কুমারী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক।

হামলায় মাহবুবের পিঠ, ডান হাতসহ শরীরের বিভিন্ন স্থান ক্ষতবিক্ষত হয়েছে। বর্তমানে তিনি চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। হাসপাতালের অর্থোপেডিক সার্জন আবদুর রহমান জানান, মাহবুবুর এখন আশঙ্কামুক্ত।

আজ রোববার সকালে হাসপাতালে মাহবুবের সঙ্গে কথা হয়। তিনি জানান, গতকাল রাতে এশার নামাজের সময় কাপড়পট্টিতে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রফিকুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিকসহ দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে একটি চায়ের দোকানে বসে ছিলেন। একপর্যায়ে আবু বকরের সঙ্গে দোকানের পাশে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন। ওই সময় অতর্কিতভাবে পেছন থেকে এক ব্যক্তি রামদা গিয়ে তাঁকে কোপাতে থাকে। ওই ব্যক্তির মাথায় হেলমেট পরে ছিল। পরে সে দৌড়ে পালিয়ে যায়।

কে, কারা এবং কী কারণে এ হামলা চালিয়েছে—সে বিষয়ে কিছুই জানাতে পারেননি মাহবুব। তিনি বলেন, ‘হামলাকারী আমাকে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যেই এসেছিল। তবে হেলমেট পরা থাকায় তাকে চিনতে পারিনি। এ ব্যাপারে পুলিশকে জানানো হয়েছে।’

এ ঘটনায় আজ বেলা ১১টা পর্যন্ত থানায় কোনো মামলা হয়নি বলে জানান আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদুর রহমান। তিনি বলেন, হামলাকারীর বিষয়ে অনুসন্ধান চলছে।