ঝালকাঠির ভীমরুলীর ভাসমান পেয়ারার বাজার দেখে অভিভূত বাংলাদেশে নিযুক্ত আলজেরিয়ার রাষ্ট্রদূত আবদেলোহাব সায়দানি। রোববার সকালে তিনি ভাসমান পেয়ারা বাজার ও বাগান ঘুরে দেখেন
ঝালকাঠির ভীমরুলীর ভাসমান পেয়ারার বাজার দেখে অভিভূত বাংলাদেশে নিযুক্ত আলজেরিয়ার রাষ্ট্রদূত আবদেলোহাব সায়দানি। রোববার সকালে তিনি ভাসমান পেয়ারা বাজার ও বাগান ঘুরে দেখেন

ঝালকাঠির ভাসমান পেয়ারার বাজার দেখে মুগ্ধ আলজেরিয়ার রাষ্ট্রদূত

ঝালকাঠির ভীমরুলীর ভাসমান পেয়ারার বাজার দেখে অভিভূত বাংলাদেশে নিযুক্ত আলজেরিয়ার রাষ্ট্রদূত আবদেলোহাব সাইদানি। আজ রোববার সকালে তিনি জেলার ভীমরুলী ও আটঘর কুড়িয়ানা এলাকার ভাসমান পেয়ারাবাজার ও বাগান ঘুরে দেখেন। এ সময় তিনি স্থানীয় কৃষকদের সঙ্গে কথা বলেন।

পরিদর্শন শেষে রাষ্ট্রদূত বলেন, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও ঐতিহ্যবাহী ভাসমান বাজার দেখে তিনি মুগ্ধ। আলজেরিয়ায় পেয়ারা উৎপাদিত হয় না। এখান থেকে পেয়ারা রপ্তানির সম্ভাবনা রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তিনি আলজেরিয়ার সরকার ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করবেন।

ভাসমান বাজারের কর্মচাঞ্চল্য, কৃষকদের পরিশ্রম এবং এখানকার উৎপাদিত পেয়ারার গুণগত মানে মুগ্ধতা প্রকাশ করেন রাষ্ট্রদূত। তিনি বলেন, ‘কীভাবে এই ফল আলজেরিয়ায় রপ্তানি করা যেতে পারে, সে বিষয়ে আমরা গুরুত্ব দিয়ে চিন্তা করব।’
আবদেলোহাব সাইদানি বলেন, বাংলাদেশের কৃষি অর্থনীতি ও পণ্যের বৈচিত্র্য বিশ্ববাজারে ব্যাপক সম্ভাবনা তৈরি করতে পারে।

আলজেরিয়া রাষ্ট্রদূতের এই সফরে সঙ্গে ছিলেন তাঁর মেয়ে এলিনা, আলজেরিয়ার দূতাবাসের সেক্রেটারি এ কে এম সাইদাদ হোসাইন, বরিশাল ফরচুন গ্রুপের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান।

ফরচুন গ্রুপের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বলেন, ‘আলজেরিয়ার রাষ্ট্রদূত পেয়ারা রপ্তানির সম্ভাবনা যাচাই করতে এসেছেন। তাঁরা সম্মতি দিলে আমরা পেয়ারা সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাত করে রপ্তনির উদ্যোগ নেব।’

সফর শেষে রাষ্ট্রদূত বরিশালের উদ্দেশে ঝালকাঠি ত্যাগ করেন।

ঝালকাঠিতে প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে ভাসমান পেয়ারাবাজার ঘিরে হাজারো দর্শনার্থীর ভিড় জমে।