Thank you for trying Sticky AMP!!

বান্দরবানের চার উপজেলায় পর্যটকদের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা ৮ নভেম্বর পর্যন্ত বাড়ল

শঙ্খ পাহাড়ি ছড়া, তিন্দু বাজার, থানচি, বান্দরবান

বান্দরবানের চার উপজেলায় পর্যটক ভ্রমণের নিষেধাজ্ঞা ৮ নভেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। আজ শুক্রবার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি স্বাক্ষরিত গণবিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

নিরাপত্তাজনিত কারণে বান্দরবানে রোয়াংছড়ি, রুমা, থানচি ও আলীকদমে পর্যটক ভ্রমণে দফায় দফায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হচ্ছে। আজ শুক্রবার তৃতীয় দফায় জারি করা নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হয়। চতুর্থ দফায় গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে সেই নিষেধাজ্ঞা বাড়ানো হলো।

Also Read: বান্দরবানের চার উপজেলায় ভ্রমণের নিষেধাজ্ঞা ৪ নভেম্বর পর্যন্ত বাড়ল

জারি করা গণবিজ্ঞপ্তিতে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি বলেছেন, বান্দরবান সেনা রিজিয়ন সদরদপ্তরের ৩ নভেম্বর চিঠির আলোকে গত ৩০ অক্টোবর জারি করা চারটি উপজেলায় ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা ৮ নভেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হলো। জনস্বার্থে ও নিরপত্তার বিষয় বিবেচনা করে রুমা, থানচি, রোয়াংছড়ি ও আলীকদম উপজেলায় দেশি-বিদেশি পর্যটকদের ভ্রমণে এই নিষেধাজ্ঞা প্রয়োজ্য হবে।

এর আগে প্রথমে গত ১৭ অক্টোবর রোয়াংছড়ি ও রুমা উপজেলায় পর্যটকদের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল। দ্বিতীয় দফায় ২৩ অক্টোবর ও তৃতীয়বারে ৩০ অক্টোবর ওই দুই উপজেলাসহ থানচি ও আলীকদম উপজেলায় ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দিয়ে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়।

Also Read: বান্দরবানের ৪ উপজেলা ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা

মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী রাঙামাটির বিলাইছড়ি উপজেলার দুর্গম বড়থলি ইউনিয়ন ও ওই ইউনিয়ন–সংলগ্ন বান্দরবানের রুমা ও রোয়াংছড়ি উপজেলায় গত ৯ অক্টোবর থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সমন্বিত জঙ্গিবিরোধী অভিযান পরিচালনা করছে। ১৮ অক্টোবর থেকে থানচি ও আলীকদম উপজেলাও অভিযানের আওতায় নেওয়া হয়।

প্রশাসন ও পুলিশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী দুর্গম পাহাড়ে কুকিচীন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) নামে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন থেকে সমতল থেকে আসা জঙ্গিরা প্রশিক্ষণ নিচ্ছে ও সেখানে অবস্থান করছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সমন্বিত অভিযান পরিচালনা করছে। অভিযান চলাকালে পর্যটকদের নিরাপত্তার বিষয় বিবেচনা করে ভ্রমণের ওপর সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

Also Read: ভারী অস্ত্র কিনতে কেএনএফকে ১৭ লাখ টাকা দিয়েছিল জঙ্গি সংগঠন শারক্বীয়া: র‌্যাব