গতকাল শনিবার পঞ্চগড় থেকে বাংলাবান্ধা পর্যন্ত লংমার্চ শেষে পঞ্চগড় জেলা শহরের শেরেবাংলা পার্কসংলগ্ন জুলাই স্মৃতিস্তম্ভে বক্তব্যের সময় বিদুৎ চলে গেলে এনসিপি নেতা সারজিস আলম নেসকোর কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন
গতকাল শনিবার পঞ্চগড় থেকে বাংলাবান্ধা পর্যন্ত লংমার্চ শেষে পঞ্চগড় জেলা শহরের শেরেবাংলা পার্কসংলগ্ন জুলাই স্মৃতিস্তম্ভে বক্তব্যের সময় বিদুৎ চলে গেলে এনসিপি নেতা সারজিস আলম নেসকোর কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন

ক্ষোভ ঝাড়তে গিয়ে যে উপমা ব্যবহার করেছি, সেটা করা উচিত হয়নি: ফেসবুক পোস্টে সারজিস

এনসিপির কর্মসূচিতে বক্তব্য দেওয়ার সময় বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানির (নেসকো) কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়ে নিজের ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। এতে ক্ষোভ ঝাড়তে গিয়ে যে উপমা ব্যবহার করেছেন, সেটা করা উচিত হয়নি বলে জানিয়েছেন তিনি।

আজ রোববার সন্ধ্যায় সারজিস আলম তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে এই পোস্ট করেন।

সারজিস আলম ফেসবুক পোস্টে লেখেন, বিগত এক মাসে পঞ্চগড় জেলায় এনসিপির তিনটি আয়োজনেই তিনি যখন বক্তব্য দিতে শুরু করেন, তার এক–দুই মিনিট পরেই বিদ্যুৎ চলে যায়। গতকাল শনিবারও তাঁর বক্তব্যের সময় একই ঘটনা ঘটে। কথা বলা শেষ হলে আবার বিদ্যুৎ আসে।

তিন দিন ভিন্ন সময়ে অনুষ্ঠান হলেও এ ধরনের ঘটনাকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত উল্লেখ করে সারজিস আলম বলেন, ‘জেলা পর্যায়ে বিভিন্ন সেক্টরের কিছু কর্মকর্তা এ ধরনের ছোটলোকি কিংবা অন্য দলের দালালিমূলক আচরণ করে থাকে। একজনকে ডিস্টার্ব করতে পারলে তাদের রাজনৈতিক সফলতা মনে করে।’

বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় নেসকোর কর্মকর্তাদের হুমকি দিয়ে বক্তব্য দেওয়ার বিষয়ে এনসিপির এই নেতা বলেন, ‘প্রত্যেকবারই প্রোগ্রামের আগে তাদেরকে প্রোগ্রাম সম্পর্কে বলে রাখা হয়। প্রোগ্রামের পরও ভদ্র ভাষায় বলা হয়েছে। কিন্তু তারপরও যখন একই চিত্র দেখা যায়, তখন তাদের সঙ্গে সুশীলতা প্রদর্শন করা প্রয়োজন মনে করি না। তবে ক্ষোভ ঝাড়তে গিয়ে যে উপমা ব্যবহার করেছি, সেটা করা উচিত হয়নি বলে মনে করি।’

এনসিপির সচেতনতামূলক কার্যক্রম ও মিডিয়ার বিষয়ে সারজিস আলম বলেন, ‘চাঁদাবাজি, দখলদারত্ব, সিন্ডিকেট, দুর্নীতি ও মাদক ব্যবসার বিরুদ্ধে এনসিপির পক্ষ থেকে লংমার্চে ১০ ঘণ্টা ধরে প্রায় ২ হাজার মানুষ মোটরসাইকেলে করে সাধারণ মানুষকে সচেতন করে তুলতে পুরো পঞ্চগড় জেলার ১৫০ কিলোমিটার অতিক্রম করেছি। আশা করি, মিডিয়ার ফোকাস সেদিকেও থাকবে।’

এর আগে গতকাল রাত সাড়ে ৯টার দিকে পঞ্চগড় জেলা শহরের শেরেবাংলা পার্কসংলগ্ন জুলাই স্মৃতিস্তম্ভে চাঁদাবাজি, দখলদারত্ব, সিন্ডিকেট, দুর্নীতিসহ সব অপকর্মের বিরুদ্ধে পঞ্চগড় থেকে বাংলাবান্ধা পর্যন্ত লংমার্চ শেষে বক্তব্যের সময় বিদুৎ চলে গেলে সারজিস আলম ক্ষুব্ধ হয়ে নেসকোর কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বক্তব্য দেন।