সুদানে জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনের ঘাঁটিতে সন্ত্রাসীদের ড্রোন হামলায় শহীদ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্য জাহাঙ্গীর আলমের জানাজা। আজ রোববার বিকেলে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার তারাকান্দি গ্রামে
সুদানে জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনের ঘাঁটিতে সন্ত্রাসীদের ড্রোন হামলায় শহীদ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্য জাহাঙ্গীর আলমের জানাজা। আজ রোববার বিকেলে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার তারাকান্দি গ্রামে

সুদানে ড্রোন হামলায় শহীদ পাকুন্দিয়ার সেনাসদস্য জাহাঙ্গীর আলমের দাফন

সুদানে জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনের ঘাঁটিতে সন্ত্রাসীদের ড্রোন হামলায় শহীদ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মেস ওয়েটার জাহাঙ্গীর আলমের (৩০) দাফন সম্পন্ন হয়েছে। আজ রোববার বিকেলে তাঁর নিজ গ্রাম কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার তারাকান্দিতে সামরিক মর্যাদায় তাঁর দাফন সম্পন্ন হয়।

বিকেল সোয়া চারটার দিকে ঢাকার সেনানিবাস থেকে হেলিকপ্টারে করে জাহাঙ্গীর আলমের মরদেহ পাকুন্দিয়া সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের হেলিপ্যাডে পৌঁছায়। সেখান থেকে অ্যাম্বুলেন্সে করে মরদেহ নেওয়া হয় পাকুন্দিয়া উপজেলার তারাকান্দি গ্রামে তাঁর নিজ বাড়িতে। বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে বাড়িসংলগ্ন মাঠে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে সামরিক মর্যাদায় তাঁর দাফন সম্পন্ন হয়।

জানাজায় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রিফাত জাহান, সেনাবাহিনীর কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের কমান্ডার মেজর নিয়াজ মাখদুম, পাকুন্দিয়া সেনা ক্যাম্পের ওয়ারেন্ট অফিসার আবির আহমেদসহ সেনাবাহিনীর অন্যান্য কর্মকর্তা। এর আগে সকাল সোয়া ৯টার দিকে ঢাকা সেনানিবাসের কেন্দ্রীয় মসজিদে জাহাঙ্গীর আলমসহ শহীদ শান্তিরক্ষীদের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

জাহাঙ্গীর আলমের মরদেহ আসার খবরে সকাল থেকে তারাকান্দি গ্রামে নেমে আসে শোকের ছায়া। বাড়িতে তিন বছরের একমাত্র ছেলে ইরফান, স্ত্রী রুবাইয়া আক্তার, মা পালিমা বেগম ও বাবা হযরত আলীও সারা দিন প্রিয়জনের মরদেহের অপেক্ষায় ছিলেন। স্বজন, প্রতিবেশী, গ্রামবাসী, সহপাঠী, বন্ধুবান্ধব ও পরিচিতজনেরা তাঁকে শেষবারের মতো দেখতে এবং জানাজায় অংশ নিতে আসেন।

শহীদের পরিবার জানায়, ২০১৪ সালের ১৪ অক্টোবর সেনাবাহিনীতে যোগ দেন জাহাঙ্গীর আলম। তিনি সেনাবাহিনীতে মেস ওয়েটার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। গত ৭ নভেম্বর তিনি শান্তি রক্ষা মিশনে অংশ নিতে সুদানে যান। মিশনে যাওয়ার মাত্র এক মাস সাত দিনের মাথায় তাঁর মৃত্যুর খবরে পুরো পরিবার শোকের মাতম চলছে।

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানায়, ১৩ ডিসেম্বর সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনের একটি ঘাঁটিতে সন্ত্রাসীদের ড্রোন হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ছয়জন শান্তিরক্ষী শহীদ হন। এর আগে ৭ নভেম্বর শান্তিরক্ষা মিশনে দায়িত্ব পালনের জন্য জাহাঙ্গীর আলম সুদানে যান।