শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়

ছাত্রলীগের অন্তর্কোন্দলে মধ্যরাতে উত্তপ্ত আবাসিক হল

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
 ফাইল ছবি

ছাত্রলীগের অন্তর্কোন্দলের জের ধরে গতকাল শনিবার রাতে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহপরান আবাসিক হল উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এ সময় ছাত্রলীগের পাঁচটি গ্রুপের সমর্থকেরা জিআই (গ্যালভানাইজড আয়রন) পাইপ নিয়ে হলের ভেতরে মহড়া দেন। একপর্যায়ে তাঁরা হাতাহাতিতেও জড়ান। পরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

গতকাল রাত সাড়ে ১১টার দিকে ছাত্রলীগের পাঁচটি গ্রুপের নেতাদের মধ্যে ওই পাল্টাপাল্টি মহড়া ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ছাত্রলীগ নেতা ও ইংরেজি বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী আজিজুল ইসলামের সঙ্গে তাঁরই সমর্থক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মো. মিজানুর রহমানের একটা বিষয় নিয়ে বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। তাঁরা শাহপরান হলের আবাসিক ছাত্র।

বাগ্‌বিতণ্ডার জের ধরে রাতেই আজিজুলের বিরুদ্ধে হলের প্রাধ্যক্ষ বরাবর অভিযোগ দেন মিজানুর। তবে হল প্রাধ্যক্ষের মাধ্যমে পরের দিন শুক্রবার দুপুরে অভিযোগের বিষয়টি মীমাংসা হয়। পরে ওই দিন সন্ধ্যায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে মীমাংসার বিষয়টি উল্লেখ করে একটি লেখা পোস্ট করেন আজিজুল।

এ পোস্টে কিছু ‘আপত্তিকর’ শব্দ আছে উল্লেখ করে আজিজুলকে গতকাল সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুডকোর্টে ডাকেন বিশ্ববিদ্যালয়ের চারটি গ্রুপের চারজন নেতা। তাঁরা হচ্ছেন সাবেক পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক খলিলুর রহমান, সাবেক উপদপ্তর সম্পাদক সজিবুর রহমান, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের সহসভাপতি মামুন শাহ ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুমন মিয়া। এ নিয়ে আজিজুলের সঙ্গে ওই চারটি গ্রুপের নেতাদের কথা-কাটাকাটি হয়। এরই জের ধরে গতকাল রাতে আজিজুল ও বাকি চার গ্রুপের নেতাদের সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। এ সময় ছাত্রলীগের কিছু নেতা-কর্মীকে জিআই পাইপ হাতে মহড়া দিতে দেখা গেছে। তবে মহড়ার খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মো. কামরুজ্জামান চৌধুরী ও শাহপরান হলের প্রাধ্যক্ষ মিজানুর রহমান খান এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

পরিস্থিতি শান্ত হওয়ার পর আজিজুল গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, অভ্যন্তরীণ একটা ঝামেলা হয়েছিল। তবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সেটা সমাধান করে দিয়েছে। এরপর এ নিয়ে তিনি আর কোনো মন্তব্য করতে চান না।

এদিকে ছাত্রলীগ নেতা খলিলুর প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে কারও কোনো ঝামেলা হয়নি। হলে একটা বিষয় নিয়ে ছাত্রদের ঝামেলা হয়েছে। তবে সেটা সমাধান হয়ে গেছে।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মো. কামরুজ্জামান চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘ছাত্রদের দুটি পক্ষের সঙ্গেই কথা বলেছি। পুরো বিষয়টি সমাধান করে দেওয়া হয়েছে। তাই রাতেই পরিস্থিতি শান্ত হয়ে গেছে।’