
ঝিনাইদহে কালীচরণপুর ইউনিয়ন যুবলীগ কর্মী নয়ন ইসলামকে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টার প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন হয়েছে। আজ শনিবার দুপুরে যুবলীগের উদ্যোগে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে পায়রা চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে মানববন্ধন করেন দলের স্থানীয় নেতা-কর্মীরা।
ঘণ্টাব্যাপী এই মানববন্ধনে কালীচরণপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম, জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আশফাক মাহমুদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুর রহমান শিকদার, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোদাচ্ছের হোসেন, জেলা শ্রমিক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন, আহত নয়নের বাবা জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ বক্তব্য দেন।
হামলার ঘটনায় জড়িত সব সন্ত্রাসীকে দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও বিচারের দাবি জানান বক্তারা। অবিলম্বে আসামিদের গ্রেপ্তার করা না হলে পরে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন তাঁরা। এ সময় নয়নের বাবা কান্নাজড়িত কণ্ঠে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমার মতো আর যেন কোনো বাবাকে চোখের সামনে এমন ঘটনা দেখতে না হয়।’
উল্লেখ্য, ২৮ ডিসেম্বর রাতে নয়ন ও তাঁর বন্ধু বাবলু সদর উপজেলার বয়ড়াতলা বাজার থেকে কালীচরণপুর ইউনিয়নের বদনপুর নিজ গ্রামের বাড়িতে ফিরছিলেন। পথে ফকিরপাড়া এলাকায় পৌঁছালে একদল সন্ত্রাসী তাঁদের পথরোধ করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে সন্ত্রাসীরা নয়নের কাছ থেকে টাকা ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন আহত অবস্থায় তাঁদের উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। নয়নের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তিনি বর্তমানে ঢাকার জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসাধীন।
হামলার পরদিন ২৯ ডিসেম্বর নয়নের বাবা বাদী হয়ে ঝিনাইদহ সদর থানায় মামলা করেন। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ সোহেল রানা বলেন, এ মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের ধরতে অভিযান চলছে। তবে এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।