নড়াইল শহরের শেখ রাসেল সেতুর পশ্চিম পাশে ‘শহীদ সালাউদ্দিন সেতু’ নামে ব্যানার টানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা। বৃহস্পতিবার বিকেলে
নড়াইল শহরের শেখ রাসেল সেতুর পশ্চিম পাশে ‘শহীদ সালাউদ্দিন সেতু’ নামে ব্যানার টানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা। বৃহস্পতিবার বিকেলে

নড়াইলে শেখ রাসেল সেতুর নামফলক ভেঙে নতুন নামকরণ

নড়াইল শহরের পুরাতন ফেরিঘাট এলাকায় চিত্রা নদীতে শেখ রাসেল সেতুর নামফলকের মূল অংশ ভেঙে সেতুটির নতুন নামকরণ করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সেতুর পূর্ব পাশে থাকা নামফলক ভেঙে তাঁরা সেতুটির নাম দিয়েছেন ‘শহীদ সালাউদ্দিন সেতু’।

বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে সেতুর দুই পাশে বড় করে দুটি ব্যানারও টানানো হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলার সদস্যসচিব শাফায়াত উল্লাহর নেতৃত্বে এ সময় যুগ্ম সদস্যসচিব আমিরুল ইসলাম ও মেহেদী হাসান, মুখ্য সংগঠক কাজী ইয়াজুর রহমানসহ নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

সংগঠনটির নেতা-কর্মীরা বলেন, দেশের কোনো স্থাপনায় ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের পরিবারসহ কারও নাম রাখা হবে না। সেই অনুযায়ী, তাঁরা জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে নড়াইলের শহীদ সালাউদ্দিন সুমনের নামে সেতুটির নাম পরিবর্তন করে ‘শহীদ সালাউদ্দিন সেতু’ নাম দিয়েছেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলার সদস্যসচিব শাফায়াত উল্লাহ বলেন, ‘নড়াইলের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত গুরুত্বপূর্ণ একটি সেতু, যার নাম ছিল শেখ রাসেল সেতু। আজ সেটির নাম পরিবর্তন করে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদ সালাউদ্দিন ভাইয়ের নামে নামকরণ করে দিলাম। এরপর খাতা-কলমে সেতুটির নাম পরিবর্তনের জন্য আমরা আবেদন করব।’ তিনি বলেন, নড়াইলসহ সারা দেশে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দোসরদের নামে কোনো স্থাপনা থাকবে না। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সাধারণ জনগণের প্রত্যাশা পূরণে সব সময় রাজপথে থাকবে।

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের অধীনে ২৯ কোটি ১১ লাখ টাকা ব্যয়ে শেখ রাসেলের নামে সেতুটি নির্মাণ করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। ২০১৮ সালের ১১ অক্টোবর সেতুটির উদ্বোধন করেছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।