
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে প্রকাশ্যে এসেছে ইসলামী ছাত্রীসংস্থা। তবে এখনো বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো কমিটি ঘোষণা করা হয়নি।
ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসা শিক্ষার্থীদের সহায়তা দিতে ইসলামী ছাত্রীসংস্থা বিশ্ববিদ্যালয়ের অমর একুশে ভাস্কর্যের পাশে একটি অস্থায়ী বুথ বসিয়েছে। সেখান থেকে ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্রীসংস্থার প্রাথমিক সদস্য ফরমও বিতরণ করা হচ্ছে।
আজ রোববার ‘সি’ ইউনিটের (কলা ও মানবিকী অনুষদ, আইন অনুষদ) ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে এবারের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়েছে। বেলা পৌনে দুইটায় অমর একুশে ভাস্কর্যের পাশে গিয়ে দেখা যায়, কাপড় ও বাঁশের প্যান্ডেল দিয়ে একটি বুথ তৈরি করা হয়েছে। বুথের সামনে ব্যানারে লেখা, ‘হেল্প ডেস্ক ও তথ্যকেন্দ্র, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রীসংস্থা, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়’। বুথের মধ্যে চেয়ারে বসে আছেন কয়েক শিক্ষার্থী। তাঁদের সামনে থাকা টেবিলে ওষুধ, স্যানিটারি প্যাড, বিভিন্ন বই ও ছাত্রীসংস্থায় যুক্ত হওয়ার প্রাথমিক ফরমও রাখা।
বুথে দায়িত্ব পালন করা শিক্ষার্থীরা বলেন, ফরমটি রাখা হয়েছে মূলত যেসব শিক্ষার্থী তাঁদের কাছ থেকে সেবা নিচ্ছেন, তাঁরা স্বেচ্ছায় আগ্রহী হয়ে ছাত্রীসংস্থার সঙ্গে যুক্ত হতে চাইলে তাঁদের জন্য। তখন তাঁরা ওই ফরম দিয়ে তাঁদের পরিচয় রাখছেন।
জানতে চাইলে ইসলামী ছাত্রীসংস্থার বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখার মনোনীত সভানেত্রী ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ৫২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী জান্নাতুল ফেরদৌস প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসা শিক্ষার্থীদের সার্বিক সহযোগিতা করছেন। ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের ওষুধ, স্যানিটারি ন্যাপকিন, বিনা মূল্যে ব্যাগ ও মুঠোফোন জমা রাখা, মুঠোফোনে কল করার সুবিধা ও নামাজের জায়গার ব্যবস্থা করেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো কমিটি আছে কি না—জানতে চাইলে জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, ‘এখন পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো কমিটি নেই। আগামী ২০২৬ সালে আমরা কমিটি প্রকাশ করব। ছাত্রীসংস্থার কেন্দ্রীয় দায়িত্বে যাঁরা আছেন, তাঁদের মাধ্যমে আমাকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য সভানেত্রী মনোনীত করা হয়েছে। কমিটিতে কতজন সদস্য আছে, সেটা কমিটি প্রকাশের পর জানানো হবে।’
এর আগে ৩৫ বছর পর গত বছর প্রকাশ্যে আসে ইসলামী ছাত্রশিবিরের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখার কমিটি।