
কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় থেকে অজ্ঞাতনামা একটি লাশ উদ্ধার হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
পুলিশ জানায়, মৃত ব্যক্তির নাম–পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি। মৃতদেহের মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাঁর বয়স ৩৫–৩৮ বছর। পরনে প্যান্ট ছিল; তবে জামা ছিল না। মরদেহের পাশ থেকে একটি মদের বোতল, একটি ইনহেলার ও একটি মুঠোফোন সেট পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার ফুয়াদ রুহানী বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে লাশের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা করা হচ্ছে।
ভৈরব উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়টি বাজার এলাকার হলুদপট্টিতে অবস্থিত। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর দলীয় কার্যালয়টিতে ব্যাপক ভাঙচুর হয়। এর পর থেকে সেখানে লোকজনের যাতায়াত তেমন ছিল না। আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের একটি কক্ষে স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালিত হতো। আজ দুপুর ১২টার দিকে স্বেচ্ছাসেবক লীগের কার্যালয়ে এক ব্যক্তির মরদেহ দেখতে পান এক পথচারী। পরে লাশ ঘিরে উৎসুক জনতার ভিড় জমে। বেলা সোয়া একটার দিকে পুলিশ আসে। পরে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
মুঠোফোন বন্ধ থাকায় উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। অসুস্থতার কারণে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. সায়দুল্লাহ মিয়া অনেক দিন ধরে দলীয় কার্যক্রম থেকে অনেকটা দূরে রয়েছেন।
তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে আওয়ামী লীগের এক নেতা বলেন, আওয়ামী সরকার পতনের পর পুরো দলীয় কার্যালয় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। এখন ভবনটি পরিত্যক্ত। ওই কার্যালয় নির্জন থাকায় খুনি চক্র সুযোগ নিয়ে থাকতে পারে।