
কক্সবাজারের দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীর কুতুবজোম ইউনিয়নের সোনাদিয়া দ্বীপে বহিরাগত পর্যটকদের রাত্রিযাপন নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি নিরাপত্তার স্বার্থে নতুন বছরের শুরুতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আজ রোববার মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রণব চৌধুরী তাঁর ব্যক্তিগত ফেসবুক ওয়ালে এ–সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বলছেন, সোনাদিয়া দ্বীপটি দুর্গম হওয়ায় সেখানে রাত্রিযাপন আগে থেকেই নিষিদ্ধ ছিল। সম্প্রতি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে অনেকে দ্বীপে রাত্রিযাপন করছিলেন। তাই ওসি নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন।
ফেসবুকে দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১ জানুয়ারি থেকে সোনাদিয়া দ্বীপে প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া স্থানীয় জনসাধারণ ব্যতীত কোনো বহিরাগত পর্যটক রাত্রিযাপন করতে পারবেন না। স্থানীয় জনসাধারণের মধ্যে কেউ যদি আদেশ অমান্য করে বহিরাগত পর্যটককে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে দ্বীপে রাত্রিযাপনের সুযোগ করে দেন এবং যাঁরা অবস্থান করবেন, উভয়কে আইনের আওতায় আনা হবে। পর্যটকদের রাতে দ্বীপে অবস্থানের জন্য যাঁরা ইতিমধ্যে প্যাকেজ ঘোষণা করে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন, তাঁদের দ্রুত বিজ্ঞপ্তি তুলে নেওয়ার জন্য বলা হচ্ছে। বিকেল চারটার আগে বহিরাগত সবাইকে দ্বীপ এলাকা ত্যাগ করতে হবে।
ওসি প্রণব চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, দিনে পর্যটকদের সোনাদিয়া দ্বীপ ভ্রমণে কোনো বাধা নেই। তবে তাঁদের অবশ্যই বিকেল চারটার মধ্যে দ্বীপ থেকে ফিরে আসতে হবে। তিনি বলেন, ইতিমধ্যে বাণিজ্যিকভাবে যাঁরা বিভিন্ন অফার দিয়ে সোনাদিয়ায় পর্যটকদের অনিরাপদ রাত্রিযাপনের ব্যবস্থা করে আসছেন, তাঁদের এসব বন্ধের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এরপরও কেউ নির্দেশ অমান্য করলে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মহেশখালীর ইউএনও মোহাম্মদ ইয়াছিন প্রথম আলোকে বলেন, সোনাদিয়া দ্বীপে পর্যটকদের রাত্রিযাপন অনিরাপদ হওয়ায় আগে থেকেই নিষিদ্ধ ছিল। কিন্তু সম্প্রতি আইন অমান্য করে দ্বীপে রাতে অবস্থান করেন অনেকে। দ্বীপটি দুর্গম, সেখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো ফাঁড়ি নেই। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাসহ পর্যটকদের নিরাপত্তার কথা ভেবে ওসি নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি স্থানীয় ব্যক্তিদের জানিয়ে দিয়েছেন।