
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেছেন, ‘পিআর সিস্টেমে নির্বাচনই বাংলাদেশের সবচেয়ে নিরাপদ নির্বাচন। পিআর সিস্টেমে নির্বাচনের জন্য আমরা আন্দোলন করব, সংগ্রাম করব। সরকারকে বলব, পিআর সিস্টেমে নির্বাচন দেন। যদি না দেন তাহলে অবশ্যই বাংলাদেশের জনগণের কাছে গণভোট দেওয়ার জন্য বাক্স দেন। যদি জনগণ পিআর সিস্টেম চায়, তাহলে আমরা করব। আর জনগণ না চাইলে আমরা করব না।’
শুক্রবার বিকেলে খুলনা নিউমার্কেট চত্বরে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফয়জুল করীম এসব কথা বলেন। সমাবেশে তিনি বলেন, ‘বিএনপির কোনো ভোট নেই। এই ভোট একসময় ছিল মুসলিম লীগের, সেখান থেকে আওয়ামী লীগ, তারপর আসছে বিএনপির, এরপর জাতীয় পার্টির, এবার জোটের ভোট। ভোট পরিবর্তনশীল। কারও জন্ম দেওয়া ভোট নেই। ভোটাররা সব সময় দেখবে, কার কাছে তাঁর জানমালের নিরাপত্তা আছে।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ইসলামী আন্দোলনের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির বলেন, ‘যার কাছে আমার জানমাল, ইজ্জত-আবরু নিরাপদ থাকবে, আমি তাকেই ভোট দেব। অন্য কাউকে ভোট দিতে পারে না। তোমরা যে অঙ্ক করছ, আগের হিসাব শেষ হয়ে গেছে। এখন ডিজিটাল যুগ। যুগই পরিবর্তন হয়ে গেছে। আওয়ামী লীগ ১৭ বছর যে জুলুম–অত্যাচার করেছে, সেখান থেকে কিছু মানুষ এমনভাবে তৈরি হয়েছে, তারা জুলুম–অত্যাচারকে তোয়াক্কা না করে দুনিয়া থেকে মেটাবার জন্য তৈরি হয়েছে। কোনো জুলুম-অত্যাচারকে তারা ভয় পায় না। প্রতিবাদ তারা শিখেছে।’
ফয়জুল করীম বলেন, ‘ভোট না দিলে সেন্টার থেকে ফিরতে দেবে না, এমন বক্তব্য আছে। কিন্তু সেই জমানা শেষ হয়ে গিয়েছে। এবার ভোট দেবে শান্তিপ্রিয় মানুষদের। খুলনায় একসময় গুন্ডা ছিল, তাদের হুমকি-ধমকি ছিল। এখন গুন্ডাতন্ত্র আছে? এই গুন্ডাতন্ত্র, অস্ত্রতন্ত্র আস্তে আস্তে বিদায় হয়ে যাবে। এখন আর মানুষ অস্ত্রতন্ত্রকে ভয় পায় না।’
দলের খুলনা মহানগরের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি শেখ মো. নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও মহানগরের সেক্রেটারি মুফতি ইমরান হুসাইনের সঞ্চালনায় সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন মুজিবুর রহমান, আবু তাহের, হাফেজ আব্দুল লতিফ, জাহাঙ্গীর হোসেন, মাওলানা শরীফ সাইদুর রহমান, হাফেজ শহিদুল ইসলাম, শেখ হাসান ওবায়দুল করিম প্রমুখ। সমাবেশ শেষে নগরে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।