
বগুড়ার সদরে সেপটিক ট্যাংক থেকে মারুফা নামের এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় করা হত্যা মামলায় ওই নারীর স্বামী মুকুল মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছেন জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যরা। পুলিশ বলছে, টিকটকে আসক্ত হয়ে পড়ায় স্ত্রীকে শ্বাস রোধ করে হত্যার পর লাশ গুম করেছিলেন মুকুল।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার শেখেরকোলা ইউনিয়নের নুরুইল মধ্যপাড়া এলাকায় মুকুল মিয়ার বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে মারুফার লাশ উদ্ধার করা হয়। মারুফা বগুড়া সদর উপজেলার পীরগাছা নন্দীপাড়া এলাকার মাহাবুব আলমের মেয়ে।
ডিবি ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ৯ বছর আগে মারুফাকে পারিবারিকভাবে বিয়ে করেন মুকুল মিয়া। এর পর থেকেই দাম্পত্য কলহ লেগেছিল। স্বামীর নিষেধ সত্ত্বেও টিকটক করার জের ধরে ১৩ ডিসেম্বর রাত ১০টার দিকে গৃহবধূ মারুফাকে হত্যার পর স্বামী মুকুল মিয়া সেপটিক ট্যাংকে ফেলে সিমেন্ট দিয়ে ঢেকে দেন। পরে মুকুল মিয়া বগুড়া সদর থানায় অভিযোগ করেন, তাঁকে না জানিয়ে মারুফা বাড়ি থেকে অজ্ঞাতনামা স্থানে চলে গেছেন। পরে বগুড়া সদর থানায় এ–সংক্রান্ত লিখিত অভিযোগ করা হয়।
পরে বগুড়ার পুলিশ সুপারের নির্দেশে জেলা গোয়েন্দা শাখা ছায়া তদন্ত শুরু করে। ছায়া তদন্তে বেরিয়ে আসে মুকুল মিয়া নিজেই তাঁর স্ত্রী মারুফাকে হত্যা করে লাশ বাথরুমের সেপটিক ট্যাংকে গুম করে রেখেছেন।
বগুড়া জেলা ডিবির ইনচার্জ ইকবাল বাহার বলেন, টিকটকে আসক্ত হয়ে পড়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে মুকুল মিয়া তাঁর স্ত্রী মারুফাকে হত্যা করে লাশ সেপটিক ট্যাংকে গুম করে রেখেছিলেন। বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। মুকুল মিয়াকে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।