তৃতীয় দিনের মতো বাগেরহাটে নির্বাচন কার্যালয়ের সামনে তাঁবু টানিয়ে অবস্থান। বৃহস্পতিবার সকালে
তৃতীয় দিনের মতো বাগেরহাটে নির্বাচন কার্যালয়ের সামনে তাঁবু টানিয়ে অবস্থান। বৃহস্পতিবার সকালে

বাগেরহাটে চারটি আসন পুনর্বহালের দাবিতে তৃতীয় দিনের মতো নির্বাচন কার্যালয়ের সামনে অবস্থান

বাগেরহাটে চারটি আসন পুনর্বহালের দাবিতে তৃতীয় দিনের মতো জেলা নির্বাচন কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে ঘেরাও কর্মসূচি পালন করছেন সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির নেতা-কর্মীরা। আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে তাঁবু টানিয়ে অবস্থান নেন নেতা-কর্মীরা।

সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির কো-কনভেনর ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এ সালাম বলেন, আজ তৃতীয় দিনের মতো জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় ঘেরাও ও অবস্থান ধর্মঘট করছেন। তাঁরা আদালতে রিট পিটিশন করেছিলেন। আদালত প্রাথমিকভাবে ১০ দিনের রুল জারি করেছেন। তাঁরা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। প্রয়োজনে অসহযোগ আন্দোলনের ঘোষণা দেওয়া হবে।

গত মঙ্গলবার বাগেরহাটের চারটি সংসদীয় আসন বহাল করতে কেন নির্দেশনা দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে বাগেরহাটের চারটি আসন থেকে একটি কমিয়ে তিনটি আসন করে নির্বাচন কমিশনের গেজেট কেন অবৈধ হবে না, রুলে তা-ও জানতে চাওয়া হয়। নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্টদের আগামী ১০ ‍দিনের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

গত ৩০ জুলাই আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাগেরহাটের চারটি আসনের মধ্যে একটি কমিয়ে তিনটি আসন করার প্রাথমিক প্রস্তাব দেয় নির্বাচন কমিশন। এরপরই আন্দোলন শুরু করেন বাগেরহাটবাসী। চারটি আসন বহাল রাখার দাবিতে নির্বাচন কমিশনের শুনানিতে অংশ নেন। এরপরও ৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন শুধু সীমানা পরিবর্তন করে তিনটি আসন জারি রেখে চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করে। নির্বাচন কমিশন আসন বিন্যাসের মাধ্যমে গণমানুষের দাবিকে উপেক্ষা করেছে বলে দাবি সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির নেতা-কর্মীদের।

১৯৬৯ সাল থেকে বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসনে নির্বাচন হয়ে আসছিল। সেই অনুযায়ী বাগেরহাট-১ আসন ছিল চিতলমারী-মোল্লাহাট-ফকিরহাট; বাগেরহাট-২ ছিল সদর-কচুয়া; বাগেরহাট-৩ ছিল রামপাল-মোংলা ও বাগেরহাট-৪ ছিল মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা উপজেলা নিয়ে। তবে ৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশনের চূড়ান্ত গেজেট অনুযায়ী, বাগেরহাট সদর, চিতলমারী ও মোল্লাহাট নিয়ে বাগেরহাট-১; ফকিরহাট, রামপাল ও মোংলা নিয়ে বাগেরহাট-২ এবং কচুয়া, মোরেলগঞ্জ ও শরণখোলা নিয়ে বাগেরহাট-৩ গঠিত হয়েছে।