সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট তানজিম ছারোয়ার
সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট তানজিম ছারোয়ার

কক্সবাজারের চকরিয়া

সেনা কর্মকর্তা তানজিম হত্যার দুই মামলায় ১৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র

কক্সবাজারের চকরিয়ায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট তানজিম ছারোয়ারকে হত্যার ঘটনায় করা দুটি মামলার অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করা হয়েছে। দুটি মামলায়ই ১৮ জনকে অভিযুক্ত করা হয়। এর মধ্যে ছয় আসামি পলাতক, বাকিরা কারাগারে রয়েছেন।

আজ রোববার চকরিয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আনোয়ারুল কবির অভিযোগপত্র গ্রহণ করে পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ও মালামাল ক্রোকের আদেশ দিয়েছেন।

গত বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত দেড়টার দিকে চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের পূর্ব মাইজপাড়া এলাকায় ডাকাতি প্রতিরোধ অভিযানে গিয়ে ছুরিকাঘাতে প্রাণ হারান সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট তানজিম ছারোয়ার (২৩)। এ ঘটনায় ২৫ সেপ্টেম্বর সেনাবাহিনীর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার আবদুল্লাহ আল হারুনুর রশিদ বাদী হয়ে ১৭ জনের বিরুদ্ধে ডাকাতির প্রস্তুতিসহ হত্যা মামলা দায়ের করেন। চকরিয়া থানার উপপরিদর্শক আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে একই আসামিদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে আরেকটি মামলা করেন। মামলা দুটি তদন্তের দায়িত্ব পান চকরিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) অরূপ কুমার চৌধুরী।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততা না থাকায় দুটি মামলায়ই এজাহারভুক্ত ১৭ আসামির মধ্যে ছয়জনকে বাদ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে নতুন করে যুক্ত করা হয়েছে সাতজনের নাম। চার মাস তদন্ত শেষে তদন্ত কর্মকর্তা অভিযোগপত্র দাখিল করেছেন।

আদালতে যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে তাঁরা হলেন জালাল উদ্দিন ওরফে বাবুল, হেলাল উদ্দিন, মোহাম্মদ আরিফ উল্লাহ, আনোয়ার হাকিম, জিয়াবুল করিম, মো. ইসমাইল হোসেন ওরফে হোসেন, নুরুল আমিন, নাছির উদ্দিন, আব্দুল করিম, মোহাম্মদ সাদেক, আনোয়ারুল ইসলাম, মোরশেদ আলম, শাহ আলম, আবু হানিফ, এনামুল হক ওরফে তোতলা এনাম, মো. এনাম, মো. কামাল ওরফে ভেন্ডি কামাল ও মিনহাজ উদ্দিন। তাঁদের মধ্যে আবদুল করিম, আনোয়ারুল ইসলাম, মোরশেদ আলম, শাহ আলম, আবু হানিফ ও মিনহাজ উদ্দিন পলাতক রয়েছেন।

চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মঞ্জুর কাদের ভূঁইয়া প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল শনিবার চকরিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। আজ আদালত অভিযোগপত্রটি গ্রহণ করেছেন। পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ও মালামাল ক্রোকের আদেশ দিয়েছেন আদালত।