
শ্রমিক অসন্তোষের কারণে টানা ৭ দিন বন্ধ থাকার পর গাজীপুরের কোনাবাড়ী আমবাগ এলাকার পিএন কম্পোজিটের কারখানা খুলে দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার সকাল থেকে কাজে ফিরেছেন প্রতিষ্ঠানটির শ্রমিকেরা।
পুলিশ ও কারখানা সূত্রে জানা যায়, ৭ ও ৮ ডিসেম্বর শ্রমিকেরা কিছু দাবিদাওয়া নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। এরপর ৯ ডিসেম্বর থেকে কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। শ্রম আইন অনুযায়ী, ১৩৯ জন শ্রমিককে সাময়িক বরখাস্ত করে কারখানা কর্তৃপক্ষ।
প্রতিষ্ঠানটির নোটিশে বলা হয়েছে, কর্মচারী ও শ্রমিকদের সদয় অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে ‘গত ০৭ ডিসেম্বর এবং ০৮ ডিসেম্বর কারখানার শ্রমিকগণ কিছু অযৌক্তিক দাবি উপস্থাপন করে, অবৈধভাবে কারখানায় সংঘবদ্ধ হয়ে উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ করে, চরম বিশৃঙ্খলা ও অস্থিতিশীল অবস্থা তৈরি করে অবৈধ ধর্মঘটে লিপ্ত হয়। এমতাবস্থায় কর্তৃপক্ষ ৯ ডিসেম্বর হতে বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬–এর ১৩ (১) ধারা মোতাবেক অনির্দিষ্টকালের জন্য কারখানা বন্ধ ঘোষণা করতে বাধ্য হয়।’
পরে কারখানা খোলার বিষয়ে অধিকাংশ শ্রমিকের অনুরোধে ও কারখানা সুষ্ঠু উৎপাদন কার্যক্রম চালুর লক্ষ্যে এবং ১৩ (৩) ধারা মোতাবেক কারখানা কর্তৃপক্ষ পূর্বঘোষিত ১৩৯ জন সাময়িক বরখাস্ত করা শ্রমিক ছাড়া অচল আজ থেকে কারখানা কার্যক্রম যথারীতি চলবে।
প্রতিষ্ঠানটির এজিএম আখলাকুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, ‘সকাল থেকে শ্রমিকেরা কাজে যোগ দিয়েছেন। তাঁদের বেতন–ভাতা সময়মতো পরিশোধ করা হচ্ছে। তাঁদের কোনো দাবিদাওয়া নেই। তাঁদের দাবি একটাই, শ্রমিকদের কাছে কর্তৃপক্ষকে মাফ চাইতে হবে। ১৩৯ জন শ্রমিককে আর কাজে নেওয়া হয়নি। বরখাস্ত করা শ্রমিকদের বিরুদ্ধে আইনি কার্যক্রম যথারীতি চালু থাকবে।’
পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে কারখানার সামনে শিল্প পুলিশের পাশাপাশি মেট্রোপলিটন পুলিশের সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানান কোনাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার জালাল উদ্দীন মাহমুদ।