ভৈরবকে জেলা ঘোষণা ও ঢাকা বিভাগে অন্তর্ভুক্তির দাবিতে ভৈরবে বিক্ষোভ। আজ রোববার সকালে
ভৈরবকে জেলা ঘোষণা ও ঢাকা বিভাগে অন্তর্ভুক্তির দাবিতে ভৈরবে বিক্ষোভ। আজ রোববার সকালে

ভৈরবকে জেলা ঘোষণা ও ঢাকা বিভাগে অন্তর্ভুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ, সড়ক অবরোধ

কিশোরগঞ্জের ভৈরবকে প্রস্তাবিত ৬৫তম জেলা ঘোষণার দাবিতে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করেছেন স্থানীয় লোকজন। একই সঙ্গে কিশোরগঞ্জ ও ভৈরবকে ঢাকা বিভাগে রাখার দাবি জানানো হয়েছে।

আজ রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ভৈরবের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি ভাস্কর্য ‘দুর্জয় ভৈরব’ চত্বরে ‘ভৈরবের সর্বস্তরের জনগণ’ ব্যানারে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। পরে তাঁরা ভৈরব–ময়মনসিংহ আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করেন। এতে অন্তত ৩০ মিনিট মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ ছিল।

প্রসঙ্গত, ভৈরবকে ৬৫তম জেলা হিসেবে ঘোষণা করতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে ২০০৯ সালের ১৫ অক্টোবর একটি পরীক্ষা ও পর্যালোচনা কমিটি করে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল। তবে পরবর্তী সময় জেলা করার ব্যাপারে অন্য কোনো উদ্যোগ নেয়নি সরকার। এ ছাড়া সম্প্রতি কিশোরগঞ্জকে সরকার ময়মনসিংহ বিভাগে অন্তর্ভুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছে, এমন খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। তবে সরকারিভাবে এমন ঘোষণার সত্যতা পাওয়া যায়নি। ওই খবরের ভিত্তিতে আজ বিক্ষোভ করেন স্থানীয় লোকজন।

বিক্ষোভে অন্যদের মধ্যে গণ অধিকার পরিষদের সংগঠক ইমতিয়াজ আহমেদ, উপজেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আবির আহমেদ, সমাজকর্মী হান্নান আহমেদ, জুনায়েদ আহমেদ, রাকিবুল হাসান, রিয়াজ আহমেদ, মো. কাকন, জাহিদুল ইসলাম, মো. জিহাদ, সাইমন আহমেদ, মো. স্বপন প্রমুখ বক্তব্য দেন। বক্তারা দ্রুত ভৈরবকে জেলা ঘোষণা ও বাস্তবায়নের দাবি জানান। পাশাপাশি কিশোরগঞ্জকে ঢাকা বিভাগে রাখার দাবি জানান।

সভা শেষে বিক্ষুব্ধ লোকজন ভৈরব উপজেলা অভিমুখে যান। সেখানে গিয়ে তাঁরা ভৈরব–ময়মনসিংহ আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করেন। আধা ঘণ্টা পর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়। দাবি আদায় না হলে রেল ও সড়কপথ অবরোধসহ কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।