Thank you for trying Sticky AMP!!

মানিকগঞ্জে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা

বিএনপি

মানিকগঞ্জে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে নতুন আরেকটি মামলা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রবিউল ইসলাম নামের স্থানীয় আওয়ামী লীগের এক কর্মী বাদী হয়ে সাটুরিয়া থানায় মামলাটি করেন। এ মামলায় বিএনপির ১৩ নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ৩০ থেকে ৩৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।

Also Read: রাশিয়ার মুখপাত্রের বক্তব্যের সমালোচনায় বিএনপি

মামলার এজাহারভুক্ত আসামিরা হলেন দিঘলিয়া ইউনিয়ন বিএনপির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি সানোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান, সহসভাপতি শহিদুর রহমান ও শফিকুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক জসিম উদ্দিন, সহপ্রচার সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, সদস্য মামুন মিয়া, কামাল হোসেন, আজমত আলী, ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সভাপতি জানে আলম, জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি সুজন রানা এবং স্থানীয় ছাত্রদলের কর্মী মো. আল-আমিন ও রনি মিয়া।

Also Read: বিএনপি চাইলেও কি এখন নির্বাচনে আসতে পারবে?

এজাহার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার বেলা দুইটার দিকে আসামিরা সাটুরিয়ার পূর্ব দিঘলিয়া গ্রামে আঞ্চলিক সড়কের ওপর কাঠের গুঁড়ি ফেলে অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন। এ সময় গাড়ির টায়ার জ্বালিয়ে চলাচলরত বিভিন্ন যানবাহনের কাচ ভাঙচুর করেন তাঁরা। বিষয়টি জানার পর মো. রবিউল ইসলাম দিঘলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছালে বিএনপির নেতা-কর্মীরা অস্ত্রশস্ত্র উঁচিয়ে তাঁদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও খুনজখমের হুমকি দেন। এরপর তিনিটি পেট্রলবোমাসদৃশ বস্তু ফেলে রেখে বিএনপির নেতা-কর্মীরা পালিয়ে যান। বাদী তাৎক্ষণিক ঘটনার বিষয়ে সাটুরিয়া থানা-পুলিশকে জানালে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ  পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে আসেন। তাঁরা আগুন নিভিয়ে ও কাঠের গুঁড়ি সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করেন।

Also Read: বিএনপি রাষ্ট্রের শত্রু, প্রতিহত করতে হবে: তথ্যমন্ত্রী

সাটুরিয়া থানার ওসি সুকুমার বিশ্বাস বলেন, বেআইনি পথরোধে অগ্নিসংযোগ, গাড়ি ভাঙচুর, পেট্রলবোমা নিয়ে জনগণের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টির অভিযোগে বিএনপির ওই নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

জেলা বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, গত ২৮ অক্টোবর থেকে গতকাল ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত মানিকগঞ্জের ৬টি থানায় বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মোট ১০টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে সদর থানায় দুটি, সাটুরিয়া থানায় তিনটি, ঘিওর থানায় দুটি এবং দৌলতপুর, হরিরামপুর ও সিঙ্গাইর থানায় একটি করে মামলা হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা এসব মামলার বাদী। এসব মামলায় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের ২৩৫ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ৯০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এসব মামলায় ৯০ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁদের মধ্যে প্রায় ৮৫ জন কারাগারে রয়েছেন।

Also Read: শেরপুরে পালিয়ে থাকা বিএনপি কর্মীকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার, হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যু