সিলেট নগরের দরগাগেট এলাকায় বাটার শোরুমে লুটপাটের ঘটনায় ইশতিয়াক নূর চৌধুরী নামের এক তরুণকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশের দাবি, তিনি প্রথম সেখানে লুটপাটে নেতৃত্ব দেন।
গতকাল শুক্রবার রাত ৯টার দিকে সিলেট মহানগরের বিমানবন্দর এলাকা থেকে ইশতিয়াককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ওই যুবকের বাবা মনিরুজ্জামান চৌধুরী নগরের সুবিদবাজার এলাকার আওয়ামী লীগের নেতা বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ। তবে তিনি কী পদে আছেন, তা পুলিশ জানাতে পারেনি।
গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে গত সোমবার সিলেটে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। এসব মিছিল থেকে নগরের ১৩টি দোকান, রেস্তোরাঁ, সুপারশপ ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা-ভাঙচুর চালানো হয়। কোনো কোনো প্রতিষ্ঠানে লুটপাটও চালানো হয়। ওই দিন বিকেল ৪টা থেকে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত এসব হামলা ও লুটপাট চলে। ১৩টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের বাইরে নগরের বিভিন্ন এলাকার আরও কিছু প্রতিষ্ঠানে বিচ্ছিন্নভাবে লুটপাট চালানোর অভিযোগ করেছেন ব্যবসায়ীরা।
হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় রয়্যাল মার্ক হোটেল, ডমিনোজ পিৎজা ও বাটা কর্তৃপক্ষ পৃথকভাবে মহানগরের কোতোয়ালি মডেল থানায় তিনটি মামলা করেছে। এসব মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় ১ হাজার ৭৪০ জনকে আসামি করা হয়। এরই মধ্যে অভিযুক্ত ২৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এদিকে পুলিশ জানিয়েছে, ওই দিন বাটার শোরুমে অন্যরা যখন ভাঙচুরে ব্যস্ত, তখন ইশতিয়াক জুতা লুটপাট শুরু করেন। তাঁর ব্যাগে ভরে জুতা লুটের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকেও ছড়িয়ে পড়ে।
সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জিয়াউল হক বলেন, ইশতিয়াকই প্রথম জুতা লুট শুরু করেন। সিসিটিভি ফুটেজ ও বিভিন্ন ভিডিও দেখে তাঁকে শনাক্ত করা হয়। পরে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। অন্য আসামিদের ধরতে অভিযান চলছে।