বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বরে আবাসিক ভবনের পাশে মাটি ফেটে বের হচ্ছে গরম গন্ধযুক্ত ধোঁয়া। গতকাল বৃহস্পতিবার তোলা
বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বরে আবাসিক ভবনের পাশে মাটি ফেটে বের হচ্ছে গরম গন্ধযুক্ত ধোঁয়া। গতকাল বৃহস্পতিবার তোলা

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বরে মাটি ফেটে বের হচ্ছে দুর্গন্ধযুক্ত ধোঁয়া, কৌতূহলের পাশাপাশি শঙ্কা

ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বরে আবাসিক ভবনের পাশে মাটি ফেটে বের হচ্ছে গন্ধযুক্ত গরম ধোঁয়া। প্রায় এক মাস সেখানে ওই পরিস্থিতি রয়েছে। এরই মধ্যে ফায়ার সার্ভিস, বিদ্যুৎ বিভাগ ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

তবে এর কারণ সম্পর্কে কেউ কিছু বলতে পারেননি। বিষয়টি নিয়ে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও তাঁদের স্বজনদের মধ্যে কৌতূহলের পাশাপাশি শঙ্কাও দেখা দিয়েছে।

বোয়ালমারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয়ের পূর্ব-দক্ষিণ পাশে কর্মচারীদের আবাসিক ভবন। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে গিয়ে দেখা যায়, ওই ভবনসংলগ্ন একটি বৈদ্যুতিক পিলারের গোড়ার চারপাশে সাত থেকে আট ফুট জায়গাজুড়ে কয়েকটি গর্ত দিয়ে অনবরত ধোঁয়া বের হচ্ছে। এ সময় শোঁ শোঁ শব্দ হচ্ছে। ওপরের মাটি অনেকটা গরম। আশপাশের গাছের ডাল-পাতা পুড়ে গেছে। এর পাশে নর্দমার পানিতে বুদ্‌বুদ উঠছে। এসব দৃশ্য দেখতে লোকজন ভিড় জমাচ্ছেন।
আবাসিক ভবনের বাসিন্দারা জানান, প্রায় এক মাস ভবনটির পাশে থাকা বৈদ্যুতিক খুঁটির পাশ দিয়ে ধোঁয়া বের হচ্ছে। প্রথম দিকে ধোঁয়া কম ছিল। গত বুধবার থেকে ধোঁয়া বেশি বের হচ্ছে। দুর্ঘটনার আশঙ্কায় তাঁরা সাবধানে চলাচল করছেন।

এ বিষয়ে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা নাজমুল হাসান বলেন, বিষয়টি দেখতে পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিকে জানানো হয়। ওই দুটি বিভাগের কর্মকর্তারা এসে জানান, এ ব্যাপারে তাঁদের করণীয় কিছু নেই। এ ধোঁয়ার সঙ্গে আগুন বা বিদ্যুতের কোনো সম্পর্ক নেই। ধোঁয়ার উৎস ভূগর্ভে। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকেও (ইউএনও) জানানো হয়েছে।

ইউএনও তানভীর হাসান চৌধুরী গতকাল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি বলেন, ধোঁয়া উদ্‌গিরণের সঠিক কারণ নির্ণয়ের জন্য পেট্রোবাংলাসহ খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়–সম্পর্কিত দপ্তরে যোগাযোগ করেছেন। তবে সেখান থেকে আশানুরূপ কোনো সাড়া পাননি। ধোঁয়ার উৎস খুঁজে বের করা গেলে জানা যাবে গ্যাস থেকে ধোঁয়া হচ্ছে, নাকি অন্য কোনো বিষয় এর পেছনে রয়েছে। সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে বিশেষজ্ঞরা এলে বিষয়টি জানা সম্ভব হবে। আপতত সেখানে সতর্কতামূলক লাল পতাকা টাঙিয়ে দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।