নোয়াখালী-২ আসনে আসন্ন সংসদ নির্বাচন দলীয় প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে মানবন্ধন করেছেন বিএনপির একাংশের নেতা–কর্মীরা। আজ বিকেলে জেলার সেনবাগ থানার মোড়ে
নোয়াখালী-২ আসনে আসন্ন  সংসদ নির্বাচন দলীয় প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে  মানবন্ধন করেছেন বিএনপির একাংশের নেতা–কর্মীরা।  আজ বিকেলে জেলার সেনবাগ থানার মোড়ে

নোয়াখালী-২ আসন

বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে সড়ক অবরোধ, বিক্ষোভ

নোয়াখালী-২ (সেনবাগ ও সোনাইমুড়ী আংশিক) আসনের সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে সড়ক অবরোধ হয়েছে। আজ সোমবার বিকেলে সেনবাগ উপজেলা সদরে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য কাজী মফিজুর রহমানের অনুসারীরা এ কর্মসূচি পালন করেন। তবে প্রায় ৩০ মিনিট পরই তাঁরা সড়ক ছেড়ে দেন।

প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ‘আজ বিকেল আনুমানিক সোয়া চারটার দিকে উপজেলা পরিষদ এলাকার দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে মিছিলের মধ্যে দিয়ে কর্মসূচি শুরু হয়। মিছিলে নেতা-কর্মীরা ৩১ দফা প্রচারের পাশাপাশি প্রার্থী পরিবর্তনের দাবি জানান। মিছিলটি উপজেলা পরিষদ গেট, সেনবাগ পাইলট উচ্চবিদ্যালয় এলাকা, প্রেসক্লাব মোড়, থানার মোড় হয়ে শহরের দক্ষিণ বাজার ঘুরে পুনরায় থানার মোড়ে এসে শেষ হয়। সেখানেই সড়ক অবরোধ শুরু হয়। এটিই উপজেলার প্রধান সড়ক।

প্রার্থী পরিবর্তনের দাবির এ কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য জহিরুল ইসলাম ওরফে কামাল, উপজেলা ছাত্রদলের সদস্যসচিব আনোয়ার মিয়াজি, উপজেলা যুব দলের যুগ্ম আহ্বায়ক আরমান হোসেন ওরফে সুমন, ছাতারপাইয়া ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি গোলাম কিবরিয়া ওরফে টিপু প্রমুখ।

এতে বক্তারা বলেন, সেনবাগে বিগত দিনে সব আন্দোলন–সংগ্রামে নেতা-কর্মীদের পাশে ছিলেন কাজী মফিজুর রহমান। তাঁকে মনোনয়ন না দিয়ে দেওয়া হয়েছে আরেকজনকে। সেনবাগ ও সোনাইমুড়ী এলাকার দলীয় নেতা–কর্মীরা এই মনোনয়নের পরিবর্তন চান। তাই অবিলম্বে এই মনোনয়ন পরিবর্তন করতে হবে। অন্যথায় কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

উপজেলার স্থানীয় সূত্র জানায়, সেনবাগ বিএনপির রাজনীতিতে কাজী মফিজুর রহমান ও জয়নুল আবেদিনের (ফারুক) দ্বন্দ্ব প্রায় দুই দশক ধরে। কাজী মফিজুর রহমান উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক। একবার তিনি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানও নির্বাচিত হয়েছেন। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি বিএনপি থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। অন্যদিকে জয়নুল আবেদিন নোয়াখালী-২ আসন থেকে পাঁচবার সংসদ সদস্য হয়েছেন। তিনি বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা।

সমর্থকদের কর্মসূচির বিষয়ে জানতে চাইলে কাজী মফিজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, তিনি ১৬ বছর আওয়ামী লীগের হামলা-মামলার শিকার দলীয় নেতা–কর্মীদের পাশে ছিলেন। তাঁদের মামলা পরিচালনা, পরিবারের খাবারের ব্যবস্থা করাসহ বিভিন্ন সহযোগিতা করেছেন। আর যাঁকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে, তিনি নেতা–কর্মীদের পাশে ছিলেন না। তাই শুধু দলীয় নেতা–কর্মীরাই নন, সাধারণ মানুষও এই মনোনয়নের পরিবর্তন চান।

কর্মসূচি নিয়ে জানতে চেয়ে বিএনপির প্রার্থী জয়নুল আবেদিনের মুঠোফোনে কল করা হলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মিজানুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, বিএনপি নেতা কাজী মফিজুর রহমানের অনুসারীরা শহরে একটি বিক্ষোভ মিছিল করেছেন। তখন তিনি সেবারহাটে একটি সভায় ছিলেন। তবে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।