Thank you for trying Sticky AMP!!

ছাত্রলীগের নির্যাতনের শিকার সেই ছাত্রীর খোঁজ নিচ্ছে না বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে নির্যাতনের শিকার ওই ছাত্রী শারীরিক ও মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার সকালে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি এসব কথা বলেন। চিকিৎসকের পরামর্শে তিনি বর্তমানে বাড়িতে থেকে ওষুধ সেবন করছেন। তবে তিনি শারীরিকভাবে বেশি দুর্বল হয়ে পড়ছেন বলে জানিয়েছেন।

আজ সকালে ওই ছাত্রী মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘ক্যাম্পাস থেকে ছাত্র উপদেষ্টা ফোন করে শনিবার দেখা করতে বলেছেন। কিন্তু আমার নিরাপত্তা কে দেবে? সেখানে গেলে কেউ আমার কিছু করবে না, সেটা নিশ্চিত হব কী করে?’

Also Read: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে ছাত্রীকে সাড়ে ৪ ঘণ্টা নির্যাতন, নেতৃত্বে ছাত্রলীগ নেত্রী

আজ সকাল পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কেউ কোনো খোঁজখবর নিয়েছে কি না, জানতে চাইলে ওই ছাত্রী বলেন, ‘কেউ খোঁজ নেয়নি। কেউ ফোন করে জানতেও চায়নি, “কেমন আছি।” আমি তো বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি হওয়া ছাত্রী, তাদের ছাত্রী।’

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আবদুস সালাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার সঙ্গে এখনো যোগাযোগ হয়নি। তাঁরাও (ভুক্তভোগী ছাত্রী) কোনো যোগাযোগ করেনি। আর দুই দিক থেকে অভিযোগ এসেছে। পার্টি হিসেবে এখন কোনো সার্পোট দেব না। সার্পোট হিসেবে মুখের কথা ছাড়া কিছুই নেই। তবে তাঁরা (ভুক্তভোগী ছাত্রী) এলে বলব, ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আইন যা বলবে, তাই করব। এর বাইরে তো কিছু করতে পারব না।’

Also Read: ‘চিনিস আমাদের, আমরা কত খারাপ? আমরা তোর কী করতে পারি জানিস?’

বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের গণরুমে গত রোববার রাতে সাড়ে চার ঘণ্টা আটকে রেখে নির্যাতন করার অভিযোগ করেছেন প্রথম বর্ষের ওই ছাত্রী। ভুক্তভোগী ছাত্রীর ভাষ্য অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সানজিদা চৌধুরীর নেতৃত্বে তাঁর অনুসারীরা নির্যাতন চালিয়েছেন। নির্যাতনের সময় তাঁকে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ, গালাগাল এবং এই ঘটনা কাউকে জানালে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়েছে। ওই ছাত্রী গতকাল বুধবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর, হলের প্রভোস্ট ও ছাত্র উপদেষ্টার কাছে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

সানজিদা চৌধুরী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। অপর অভিযুক্ত তাবাসসুম ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী। ভুক্তভোগী ছাত্রীও একই বিভাগের শিক্ষার্থী। ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনা তদন্ত করতে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কমিটিতে আইন বিভাগের সভাপতি রেবা মণ্ডলকে আহ্বায়ক করা হয়েছে। গতকাল সকালে উপাচার্যের নেতৃত্বে তাঁর বাংলো কার্যালয়ে জরুরি বৈঠক হয়। সেখানে উপাচার্য আবদুস সালাম এ কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন।

Also Read: ইবির হলে ছাত্রী নির্যাতনে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে রিট