কক্সবাজারের চকরিয়ায় কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের মামলার আরেক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কক্সবাজার র্যাব-১৫–এর একটি দল চকরিয়া উপজেলার কৈয়ারবিল এলাকা থেকে আজ বৃহস্পতিবার ভোরে তাঁকে গ্রেপ্তার করে।
র্যাব-১৫–এর জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান আজ সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তার আসামির নাম মো. ফারুক (২৭)। তিনি বদরখালী ইউনিয়নের টুটিয়াখালী এলাকার গিয়াস উদ্দিনের ছেলে। এ পর্যন্ত দলবদ্ধ ধর্ষণ মামলার পাঁচ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
র্যাব জানায়, তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ও গোয়েন্দা তৎপরতার মাধ্যমে ফারুকের অবস্থান শনাক্ত করা হয়। এরপর আজ ভোরে চকরিয়ার কৈয়ারবিল এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মঞ্জুর কাদের ভূঁইয়া প্রথম আলোকে বলেন, আজ সন্ধ্যা সাতটার দিকে র্যাব দলবদ্ধ ধর্ষণ মামলার আসামি ফারুককে থানায় হস্তান্তর করেছে। কাল শুক্রবার তাঁকে চকরিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নেওয়া হবে।
গত রোববার রাত ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত চকরিয়া উপজেলার বদরখালী সেতুর কাছাকাছি প্যারাবনে এক কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে চকরিয়া থানায় ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ঘটনার পর পর মামলার চারজন আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এর মধ্যে গতকাল বুধবার বিকেলে প্রধান আসামি মোহাম্মদ তাজুম ঘটনার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। আজ র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন এজাহারভুক্ত ৬ নম্বর আসামি মো. ফারুক। মামলার ছয় আসামির মধ্যে ২ নম্বর আসামি মোহাম্মদ ছোটন এখনো পলাতক।