জামালপুরে গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ ভেবে ইঁদুর মারার ওষুধ খেয়ে কানকু মিয়া ও কমল মিয়ার মৃত্যু হয়। আজ সোমবার সকালে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার বানিয়াপাড়া গ্রামে কানকু মিয়ার বাড়িতে
জামালপুরে গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ ভেবে ইঁদুর মারার ওষুধ খেয়ে কানকু মিয়া ও কমল মিয়ার মৃত্যু হয়। আজ সোমবার সকালে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার বানিয়াপাড়া গ্রামে কানকু মিয়ার বাড়িতে

জামালপুরে ইঁদুর মারার ওষুধ খেয়ে দুই বেয়াইয়ের মৃত্যু

জামালপুরে ঘরে থাকা ইঁদুর মারার ওষুধ খেয়ে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল রোববার দুপুরে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার বানিয়াপাড়া গ্রামে গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ ভেবে ইঁদুর মারার ওষুধ খান দুজন। এ ঘটনায় গতকাল রাতে একজন ও আজ সোমবার সকালে অন্যজনের মৃত্যু হয়েছে।

ওই দুই ব্যক্তির নাম কানকু মিয়া (৪৫) ও কমল মিয়া (৫০)। কানকু মিয়ার বাড়ি দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার পাররাম রামপুর ইউনিয়নের বানিয়াপাড়া গ্রামে। কমল মিয়া একই ইউনিয়নের পোড়াভিটা গ্রামের বাসিন্দা। তাঁরা দুজন সম্পর্কে বেয়াই এবং পেশায় কৃষক।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল দুপুরে কমল মিয়া বেয়াই কানকু মিয়ার বাড়িতে বেড়াতে যান। সবার সঙ্গে তাঁরা দুজন একসঙ্গে দুপুরের খাবার খান। খাওয়ার পর গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা অনুভব করলে ঘরে থাকা ইঁদুর মারার ওষুধকে গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ মনে করে দুজন একসঙ্গে খান। কিছু সময় পর দুজনের মধ্যে বিষক্রিয়া শুরু হয়।

বাড়িতে থাকা স্বজনেরা দুজনকে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁদের দুজনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পথে গতকাল রাত ১১টার দিকে কানকু মিয়া ও আজ সোমবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কমল মিয়ার মৃত্যু হয়।

দেওয়ানগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, দুজন ব্যক্তি ইঁদুর মারার ওষুধ খেয়ে মারা গেছেন। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ করা হয়নি। উভয়ের পরিবারের পক্ষ থেকে ময়নাতদন্ত ছাড়া লাশ দাফনের আবেদন করা হয়েছে। পরে তাঁদের লাশ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় পৃথক দুটি অপমৃত্যুর মামলা প্রক্রিয়াধীন।