বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলার ঘটনায় সাবেক বিএনপি নেতা শাহ্ শহীদ সারোয়ারকে কারাগারে নেওয়া হচ্ছে। আজ রোববার দুপুরে ময়মনসিংহ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত চত্বরে
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলার ঘটনায় সাবেক বিএনপি নেতা শাহ্ শহীদ সারোয়ারকে কারাগারে নেওয়া হচ্ছে। আজ রোববার দুপুরে ময়মনসিংহ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত চত্বরে

ময়মনসিংহে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলার মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য কারাগারে

ময়মনসিংহ-২ (ফুলপুর-তারাকান্দা) আসনে বিএনপিদলীয় সাবেক সংসদ সদস্য শাহ্ শহীদ সারোয়ারকে (৬২) কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলার ঘটনায় হওয়া মামলায় বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত এই নেতা আজ রোববার জামিন আবেদন করে আদালতে হাজির হলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাঁকে কারাগারে পাঠান।

ময়মনসিংহের আদালত পরিদর্শক পি এস এম মোস্তাছিনুর রহমান বলেন, জুলাই আন্দোলনে হামলার ঘটনায় মামলার দুই নম্বর আসামি সাবেক বিএনপি নেতা শাহ্ শহীদ সারোয়ার স্বেচ্ছায় জামিন আবেদন করে আজ রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আদালতে হাজির হন। জ্যেষ্ঠ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সিফাত উল্লাহ জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাঁকে কারাগারে পাঠান।

শাহ্ শহীদ সারোয়ার ফুলপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি। তিনি ২০০১ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি থেকে ময়মনসিংহ-২ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। পরে ‘বিতর্কিত’ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করায় বিএনপি থেকে তাঁকে বহিষ্কার করা হয়।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ রিকশাচালক আমীর হোসেন (৩১) শাহ্ শহীদ সারোয়ারসহ ১২৫ জনের নামে একটি মামলা করেন। আদালতের আদেশে গত ১২ জুলাই ফুলপুর থানার পুলিশ মামলাটি নথিভুক্ত করে। রিকশাচালক আমীর হোসেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ২০ জুলাই অসুস্থ বাবাকে বাড়িতে দেখে ঢাকায় ফেরার পথে দুপুর ১২টার দিকে ফুলপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় মিছিলে গুলিবিদ্ধ হন। এ ঘটনায় তিনি চলতি বছরের ১৫ এপ্রিল ময়মনসিংহ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলার আবেদন করেছিলেন।

মামলায় এক নম্বর আসামি করা হয় ফুলপুর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক ও দুই নম্বর আসামি করা হয় শাহ্ শহীদ সারোয়ারকে। এই দুজনসহ মামলায় ১২৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এজাহারে উল্লেখ করা হয়, মামলার দুই নম্বর আসামির নেতৃত্বে সেদিন স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের অস্ত্রধারী লোকজন পুলিশ সদস্যদের নিয়ে হামলা করেন।