Thank you for trying Sticky AMP!!

নোয়াখালীতে যৌনকাজে বাধ্য করার মামলায় যুব মহিলা লীগের ২ নেত্রী কারাগারে

নোয়াখালী জেলার মানচিত্র

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলায় এক গৃহকর্মীকে (১৫) আটকে যৌনকাজে বাধ্য করার অভিযোগে যুব মহিলা লীগের দুজন নেত্রীকে গ্রেপ্তারের পর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

আজ বুধবার বিকেলে নোয়াখালীর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তাঁদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান।

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার রাতে অভিযুক্ত যুব মহিলা লীগের নেত্রী দিলরুবা আক্তার ওরফে তুহিন (৩০) ও তাঁর সহযোগী বিবি কুলছুমকে চাটখিল উপজেলার একটি রেস্তোরাঁ থেকে গ্রেপ্তার করে সোনাইমুড়ী থানার পুলিশ।

দিলরুবা আক্তার সেনবাগ উপজেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক। তাঁর বাড়ি উপজেলার চিলাদি গ্রামে। বিবি কুলছুম যুব মহিলা লীগের সদস্য। তিনি সোনামইুড়ী উপজেলার বাসিন্দা।

সোনাইমুড়ী থানা-পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কয়েক মাস আগে অভিযুক্ত দিলরুবা আক্তার তাঁর সেনবাগ উপজেলার ভাড়া বাসায় এক কিশোরীকে (১৫) গৃহকর্মী হিসেবে কাজে নেন। কিছুদিন পর তাঁর বাসায় অপরিচিত লোকজন এনে ওই গৃহকর্মীকে তাঁদের সঙ্গে যৌনকাজ করানোর চেষ্টা করেন। এতে সে রাজি না হলে তার ওপর নানা নির্যাতন চালানো হয়।

একপর্যায়ে দিলরুবা তাঁর বাসা পার্শ্ববর্তী সোনাইমুড়ী উপজেলায় স্থানান্তর করেন। সেখানে নেওয়ার পর ওই গৃহকর্মীকে কৌশলে চেতনানাশক ওষুধ সেবন করিয়ে যৌনকাজে বাধ্য করাতেন। এসব দৃশ্যের ভিডিও ধারণ করে তাকে ব্লেকমেলও করতে শুরু করেন তিনি।

কয়েক দিন আগে ওই কিশোরী কৌশলে বাসা থেকে পালিয়ে ঘটনার বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দেয়। এরপর পুলিশ সুপারের নির্দেশে সোনামইুড়ী থানা-পুলিশ অভিযুক্ত দিলরুবা আক্তার ও তাঁর এক সহযোগীকে মঙ্গলবার রাতে চাটখিল উপজেলার একটি চাইনিজ রেস্তোরাঁ থেকে গ্রেপ্তার করে।

এ ঘটনায় নির্যাতনের শিকার কিশোরী বাদী হয়ে দিলরুবাসহ চারজনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা করেছে।

সোনাইমুড়ী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কাজী মোহাম্মদ সুলতান আহছান উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, মানব পাচার আইনে করা মামলায় গ্রেপ্তার দুজনকে আজ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।