রাজধানীর কারওয়ানবাজারে বৃহস্পতিবার রাতে প্রথম আলোর কার্যালয় ব্যাপক হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের শিকার হয়
রাজধানীর কারওয়ানবাজারে বৃহস্পতিবার রাতে প্রথম আলোর কার্যালয় ব্যাপক হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের শিকার হয়

গণমাধ্যমকে হামলার লক্ষ্যবস্তু বানানো পূর্বের ফ্যাসিবাদী কায়দার বহিঃপ্রকাশ: জাবিসাস

প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ এবং নিউ এজ পত্রিকার সম্পাদক নূরুল কবীরকে হেনস্তার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (জাবিসাস)। শুক্রবার জাবিসাসের সভাপতি মেহেদী মামুন ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন এক যৌথ বিবৃতিতে গভীর উদ্বেগ ও প্রতিবাদ জানান।

সংগঠনটির দপ্তর সম্পাদক মাহ আলম স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে নেতারা বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম নেতা ওসমান হাদির মৃত্যুতে জাবিসাস গভীরভাবে শোকাহত ও ব্যথিত। কিন্তু ওসমান হাদির মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে একদল স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার ভবনে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ করাসহ নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীরকে হেনস্তার ঘটনা ঘটিয়েছে। গণতান্ত্রিক একটি রাষ্ট্রে গণমাধ্যমের ওপর হামলা ও সাংবাদিককে হেনস্তা গণতান্ত্রিক চেতনার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এ ধরনের ঘটনা দুর্বল আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নির্দেশ করে। এ ছাড়া গণমাধ্যমকে হামলার লক্ষ্যবস্তু বানানো পূর্বের ফ্যাসিবাদী কায়দার বহিঃপ্রকাশ।

নেতারা আরও বলেন, এই হামলা বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা নয়। সুপরিকল্পিতভাবে দেশের শীর্ষ দৈনিক দুটিতে হামলা করেছে একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী। জুলাই–পরবর্তী সময়ে গণমাধ্যমের ওপর এমন নগ্ন হামলা কখনোই কাম্য নয়। দেশের চতুর্থ স্তম্ভ ধ্বংস করতে একটি সুসংগঠিত ষড়যন্ত্র এটি। এভাবে হামলার মাধ্যমে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ভূলুণ্ঠিত করে এবং স্বাধীন মতপ্রকাশের ভয়ের সংস্কৃতি তৈরি করা হচ্ছে। গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করতে এর আগেও অপচেষ্টা করা হয়েছে, কিন্তু তা সফল হয়নি।

বিবৃতিতে নেতারা বলেন, ‘গতকালের ঘটনার পরও সাংবাদিক ও সংবাদমাধ্যমের কণ্ঠরোধের চেষ্টা ব্যর্থ হবে বলে আমরা আশা করি। সাংবাদিকেরা আগের চেয়ে আরও সাহসিকতার সঙ্গে তাঁদের পেশাগত দায়িত্ব পালন করবেন। আমরা এই ন্যক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানোর পাশাপাশি তদন্ত সাপেক্ষে জড়িত দুষ্কৃতকারীদের দ্রুত বিচারের দাবি জানাচ্ছি।’