কুমিল্লার তিতাস উপজেলায় শাশুড়িকে পানিতে চুবিয়ে হত্যার ঘটনায় জামাল উদ্দিন শিকদার (৫০) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। আজ সোমবার বেলা পৌনে দুইটার দিকে আদালতের মাধ্যমে তাঁকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও তিতাস থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. গিয়াস উদ্দিন বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় এবং নিবিড় নজরদারির মাধ্যমে গতকাল রোববার দিবাগত রাত তিনটার দিকে ঢাকার সাভারের আশুলিয়ার ডেন্ডাবর এলাকা থেকে জামাল উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ সকালে তাঁকে তিতাস থানায় হস্তান্তর করা হয়। তাঁর কাছ থেকে একটি মুঠোফোন ও ১১ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
তিতাস থানা-পুলিশ জানায়, এ বছরের ১০ অক্টোবর উপজেলার মজিদপুর ইউনিয়নের শিবপুর গ্রামে শিকদার বাড়িতে সুফিয়া বেগমকে (৭০) হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় তাঁর নাতি জহিরুল ইসলাম (২৫) বাদী হয়ে তিতাস থানায় মামলা করেন। এতে জামাল উদ্দিন শিকদারকে আসামি করা হয়।
মামলার এজাহার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ১০ অক্টোবর সকালে মুঠোফোন ব্যবহার নিয়ে জামাল উদ্দিন শিকদারের সঙ্গে তাঁর স্ত্রী রহিমা আক্তার ও মেয়ে মারিয়া আক্তারের বাগ্বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে তিনি স্ত্রী ও ১৭ বছর বয়সী মেয়েকে বেদম প্রহার করেন এবং লাথি মারেন। এতে মারিয়া গুরুতর আহত হয়ে অচেতন হয়ে পড়েন। পরে পরিবারের সদস্যরা তাঁকে উদ্ধার করে তিতাস উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। মেয়ে ও নাতনি আহত হওয়ার খবর পেয়ে সুফিয়া বেগম জামাতা জামাল উদ্দিন শিকদারের বাড়িতে যান এবং মারধরের কারণ জানতে চান। তখন দুজনের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে জামাল উদ্দিন শিকদার প্রথমে শাশুড়িকে মারধর করেন। পরে তাঁকে তুলে বাড়ির পাশের একটি খালের পানিতে চুবিয়ে হত্যা করেন। সুফিয়া বেগমের চিৎকারে আশপাশের লোকজন দৌড়ে আসেন। এ সময় জামাল উদ্দিন শিকদার পালিয়ে যান।