সকাল পৌনে ৭টায় যশোরের তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ শনিবার
সকাল পৌনে ৭টায় যশোরের তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ শনিবার

দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আজ যশোরে

দ্বিতীয় দিনের মতো দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে। আজ শনিবার সকাল পৌনে ৭টায় যশোরের তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এর আগের দিন গতকাল শুক্রবারও দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল যশোরে। যশোর মতিউর রহমান বিমানঘাঁটির আবহাওয়া অফিস সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

টানা দুই দিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ও উত্তরের হিমেল হাওয়ার কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে এই এলাকার মানুষের জীবনযাত্রা। দিনের মধ্যভাগে কিছু সময়ের জন্য সূর্যের দেখা মিলছে। তবে ঘন কুয়াশা ও শৈত্যপ্রবাহের কারণে কৃষকেরা দেরিতে মাঠে কাজে যাচ্ছেন।

যশোর সদর উপজেলার নোঙরপুর গ্রামের কৃষক বদরুল ইসলাম বলেন, স্বাভাবিক সময়ে তাঁরা মাঠে যান সকাল ৭টার আগে। কয়েক দিনের ঘন কুয়াশা ও শৈত্যপ্রবাহের কারণে এখন মাঠে যেতে ৯টা থেকে ১০টাও বেজে যাচ্ছে। এখন মাঠে আলু ও বোরো ধান রোপণ ও পরিচর্যার কাজ চলছে।

যশোর শহরের লালদীঘি পাড়ে প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৪০০ মানুষ শ্রম বিক্রির জন্য জড়ো হন। প্রচণ্ড শীতে সেই সংখ্যা অর্ধেকে নেমে এসেছে। কাজ না পেয়ে অনেকেই বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন। কেউ কেউ কাজের আশায় অনেক বেলা পর্যন্ত অপেক্ষা করছেন।

শ্রম বিক্রি করতে আসা বাহাদুরপুর এলাকার এক দিনমজুর বলেন, ‘শীতে একদিন কাজ পাই তো, তিন দিন পাই না। এক সপ্তাহ ধরে কাজ হচ্ছে না। শীতের মধ্যে প্রতিদিন ভোরবেলায় এসে বসে থেকেও কোনো লাভ হচ্ছে না।’

শীতের তীব্রতা বাড়ায় ঠান্ডাজনিত রোগের প্রকোপও বৃদ্ধি পেয়েছে। জ্বর, হাঁচি, কাশি ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে। শীতের কারণে সারা দিনই গরম পোশাক পরে চলাচল করছেন মানুষজন। শীতকালীন রোগবালাই থেকে রক্ষা পেতে গরম পানি পান ও গরম কাপড় ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, গোপালগঞ্জ, রাজশাহী, পাবনা, সিরাজগঞ্জ ও নীলফামারী জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং কোথাও কোথাও তা অব্যাহত থাকতে পারে। সারা দেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ার কারণে দেশের অনেক জায়গায় ঠান্ডার অনুভূতি অব্যাহত থাকতে পারে।