সুগন্ধা নদীতে জাহাজে আগুনের ঘটনায় একজনের লাশ উদ্ধার, নিখোঁজ আরও ৩

ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে সাগর নন্দিনী-২ নামের জ্বালানি তেলবাহী জাহাজে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ইঞ্জিন রুম
ছবি: প্রথম আলো

ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে সাগর নন্দিনী-২ নামের জ্বালানি তেলবাহী জাহাজে আগুনের ঘটনায় নিখোঁজ একজনের লাশ ইঞ্জিন রুম থেকে উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড। আজ রোববার বেলা আড়াইটার দিকে জাহাজের গ্রিজার আবদুস সালাম ওরফে হৃদয়ের (২৬) লাশ উদ্ধার করা হয়।

সালাম হবিগঞ্জের মাদবপুর উপজেলার সমুজদিপুর গ্রামের মৃত রমজান মিয়ার ছেলে। পরিবারের সদস্যরা তাঁর লাশ শনাক্ত করেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন ঝালকাঠি সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. নজরুল ইসলাম।

জাহাজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখনো তিনজন নিখোঁজ। তাঁরা হলেন জাহাজের সুপারভাইজার চাঁদপুরের বাসিন্দা মাসুদুর রহমান (৪৮), চালক বরিশালের রুহুল আমিন (৫৫) ও পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার উদয়তারা বুড়িরচর গ্রামের আকরাম হোসেন (৪০)।

এদিকে আজ সকাল থেকে সুগন্ধা নদীতে নিখোঁজ ব্যক্তিদের অনুসন্ধানে ফায়ার সার্ভিস ও কোস্টগার্ডের সদস্যরা কাজ করে যাচ্ছেন। গতকাল শনিবার রাত থেকে আজ রোববার সকাল পর্যন্ত জাহাজে মজুত করা প্রায় ১১ লাখ লিটার জ্বালানি তেল থেকে প্রায় ৬ লাখ লিটার তেল ওটি মৃদুলা নামের অপর একটি জাহাজে অপসারণ করা হয়েছে। এতে প্রায় ডুবে যাওয়া তেলবোঝাই জাহাজটি অনেকটা ভেসে উঠেছে। এ কাজে সহায়তা করছে কোস্টগার্ড ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) দুটি জাহাজ।

গতকাল বেলা দুইটার দিকে সুগন্ধা নদীতীরের সরকারি তেলের ডিপোর কাছে সাগর নন্দিনী-২ নামের জ্বালানি তেলবাহী জাহাজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এক সপ্তাহ আগে তেলবাহী জাহাজটি চট্টগ্রাম থেকে এসে ঝালকাঠিতে সুগন্ধা নদীর তেলের ডিপো-সংলগ্ন এলাকায় নোঙর করে। জাহাজটিতে প্রায় ১১ লাখ লিটার জ্বালানি তেল (পেট্রল ও ডিজেল) ছিল। এটি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের ডিপোতে খালাস করার অপেক্ষায় ছিল। ঈদুল আজহার ছুটিতে ডিপো বন্ধ থাকায় তেল খালাস করা সম্ভব হয়নি।

জাহাজে মোট নয়জন কর্মী ছিলেন। তাঁদের মধ্যে দগ্ধ হওয়া চার কর্মচারীকে রাতেই বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেন অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত জাহাজের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান এসএইচআর নেভিগেশনের প্রতিনিধি হুমায়ুন কবির।