দেশে বড় কোনো সমস্যা দেখা দিলে অন্যান্য সমস্যা চাপা পড়ে যায়। সেটা স্বাস্থ্য বা সামাজিক সমস্যা হতে পারে। করোনায় শিশুদের টিকাদানসহ স্বাস্থ্যসেবার অন্যান্য কর্মসূচি ব্যাহত হয়েছিল। বাল্যবিবাহের সামাজিক ব্যাধি অস্বাভাবিক হারে বেড়েছিল। গণমাধ্যমেও তখন এসব সমস্যা গুরুত্ব পায়নি।
খাটো কম্বলে পা আর মাথা একসঙ্গে ঢাকা বেশ কঠিন। হয় মাথার কথা ভুলে গিয়ে শুধু শরীর আর পা ঢেকে রাখতে হয়, নয়তো শরীরটাকে গুটিসুটি করে গুটিয়ে ফেলতে হয়। অবস্থাটি নিরুপায় হরিণের মতো। একটা চোখ না থাকলে হরিণের বেজায় সমস্যা। কুমিরের গতিবিধির ওপর নজর রাখতে চোখটা নদীর দিকে দিয়ে রাখলে শিকারসন্ধানী ডাঙার বাঘের মতলব সে টের পাবে কীভাবে! দুই বিপদকে আর একসঙ্গে সামলাতে পারে না। তাই তাকে হয় কুমির, নয়তো বাঘের পেটে বেঘোরে চলে যেতে হয়।
আমাদের অবস্থাও মাঝেমধ্যে তেমন হয়। ‘বড় খবর’ বা ‘বেশি খায় খবর’ বা ‘টিআরপি’ বাড়ানোর চিন্তা করতে গিয়ে হারিয়ে যায় প্রয়োজনীয় অনেক কথা, নানা তথ্য। দৃষ্টি পাওয়ার যোগ্য নানা ঘটনা থেকে দৃষ্টি দূরে সরে যায়। কেউ কেউ কি অস্থিরতা বা ডামাডোলের সুযোগও নেন না?
করোনাভাইরাসের মতো অনাকাঙ্ক্ষিত স্বাস্থ্য পরিস্থিতি, রাজনৈতিক অস্থিরতা, এমনকি ক্রিকেট-ফুটবলের উন্মাদনা থেকেও ডামাডোল সৃষ্টি হয়। গণমাধ্যম সামাজিক ইস্যু, জীবন-জীবিকার সংকট প্রভৃতির জন্য ‘জায়গার’ সংকটে পড়ে যায়।
কোভিডকালে এমন ঘটনার বহু উদাহরণ তৈরি হয়েছিল। কোভিডের নিচে ঢাকা পড়ে যায় স্বাস্থ্যসংকটের রোজকার নানা সেবা কার্যক্রম। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও), জাতিসংঘের শিশু তহবিল (ইউনিসেফ), গ্যাভির (সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্ব পরিচালিত প্রতিষ্ঠান, যা বিশ্বের সবচেয়ে প্রাণঘাতী কিছু রোগের বিরুদ্ধে বিশ্বের অর্ধেক শিশুকে টিকাদানে সহায়তা করে) সহায়তায় পরিচালিত নানা গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্যশৃঙ্খলার নিয়মিত কর্মসূচি আমরা হারিয়ে ফেলি।
কোভিডের কারণে শিশুদের টিকাদান সেবা ব্যাহত হয়। এতে প্রাণঘাতী রোগের ঝুঁকিতে পড়ে লাখ লাখ শিশু। শেষ পর্যন্ত সহযোগী দেশগুলোকে নড়েচড়ে বসতে বাধ্য করে ডব্লিউএইচও, ইউনিসেফ ও গ্যাভি।
করোনাকালের শেষের দিকে ডব্লিউএইচও পরিচালিত এক জরিপে দেখা যায়, ২০২০ সালের পরিস্থিতির তুলনায় অগ্রগতি সত্ত্বেও জরিপে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর এক-তৃতীয়াংশ (৩৭ শতাংশ) তখনো (২০২১–২২) নিয়মিত টিকাদান পরিষেবাকে আগের মতো বেগবান করতে পারেনি। নানা বাধা এসে হাজির হচ্ছিল। টিকা জোট (ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স) গ্যাভির প্রধান কর্মকর্তা ড. বার্কলে সেই পরিস্থিতির মূল্যায়ন করে বলেছিলেন, বর্তমান মহামারিটি নিয়মিত টিকাদানে দুই দশকের অগ্রগতিকে বিপন্ন করার হুমকি তৈরি করেছে। এতে বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ শিশু প্রাথমিক টিকার সেবা থেকে বাদ পড়তে পারে।
আসলে হয়েছিলও তা–ই। পৃথিবীর ৫০টি দেশে জীবন রক্ষার ৬০টি টিকাদান কার্যক্রম একেবারেই থেমে গিয়েছিল, যা প্রায় ২২ কোটি ৮০ লাখ মানুষকে (বেশির ভাগই শিশু) হাম, হলুদ জ্বর ও পোলিওর মতো রোগের ঝুঁকিতে ফেলে দেয়। ক্ষতিগ্রস্ত এই ৫০টি দেশের অর্ধেকের বেশি আফ্রিকায়। অবশ্য এসব অঞ্চলে ধারাবাহিকভাবে চলমান বৈষম্য একটা ভূমিকা রেখেছিল। কোভিডকালে সমাজের বৈষম্যগুলোর কুৎসিত চেহারা আর ঢেকে রাখা যায়নি; বরং সেগুলো আরও ডালপালা গজায়।
আগে থেকেই খুঁটি গেড়ে বসা বৈষম্যের কারণে এমনিতেই অনেক দেশের টিকাদান পরিষেবা জনবান্ধব নয়। অনেক জায়গায় টিকা দিতে স্থানীয় মানুষের সুবিধামতো দিনক্ষণ, স্থান নির্ধারণ করা হয় না। ফলে অনেক ফেঁকড়া সামাল দিয়ে তবেই টিকা পরিষেবা সাধারণ মানুষের নাগালে নিয়ে যেতে হয়। অনেকের নিশ্চয় ২০১৭ সালে সীতাকুণ্ডে শিশুদের একাধারে মৃত্যুর ঘটনা মনে আছে। ওই বছরের জুলাইয়ে দু-এক দিনের মধ্যে ১২–১৩টি শিশু হামে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। দূর পাহাড়ে থাকে বলে তাদের টিকা দেওয়া হয়নি।
টিকাদান কর্মসূচির দায়িত্বে থাকা কর্মীরা মনে করেছিলেন, ‘ওদের’ টিকা না দিলেও চলবে। ওদের আওয়াজ পাহাড়ের বাইরে কেউ শুনতে পাবে না। তখন গণমাধ্যমে শোরগোল না হলে হয়তো আমরা কেউ জানতেও পারতাম না। কাগজ আর বাস্তবে কত ফারাক। আরও বড় বিপত্তি ঘটতে পারত। ২০১৭ সালের ১৭ জুলাই জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) সম্মেলনকক্ষে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তৎকালীন মহাপরিচালক স্বীকার করেছিলেন, গণমাধ্যমে অজ্ঞাত রোগে শিশুমৃত্যুর খবর পেয়ে স্থানীয় সিভিল সার্জন ওই এলাকা পরিদর্শন করে হামের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এখনো এই অঞ্চল শিশুদের জন্য নিরাপদ নয়।
বলা বাহুল্য, স্বাভাবিক সময়ে বাংলাদেশের মতো অতি সফল টিকা কর্মসূচির দেশে এমন ঘটনা ঘটে থাকলে কোভিডকালে পরিস্থিতি কতটা নাজুক ছিল, তা সহজেই অনুমেয়। যেকোনো ডামাডোল বা অস্থিরতার সময় গণমাধ্যমও ‘পাঠক খায়’, এমন খবরের পেছনেই বেশি ছোটে। ছুটতে হয়, নইলে পত্রিকার প্রচারসংখ্যা অথবা টেলিভিশনের টিআরপি ছুটে যাবে।
যা–ই হোক, কোভিডকালে বাংলাদেশ প্রথম দিকে পিছিয়ে গেলেও শেষ পর্যন্ত ইয়েমেন বা পাকিস্তানের মতো অবস্থা হয়নি। ওসব দেশে মারাত্মক হামের প্রাদুর্ভাব অনেক শিশুর মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়ায়। স্থগিত টিকাদান কার্যক্রমের মধ্যে হামের টিকাদান কার্যক্রম বন্ধ ছিল প্রায় ২৩টি দেশে, সরাসরি যার প্রভাব পড়েছিল প্রায় ১৪ কোটি মানুষের ওপর। এসব টিকাদান কার্যক্রমের অনেকগুলো এক বছরের বেশি সময় বন্ধ ছিল।
বাংলাদেশ ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ২০২০ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২১ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত সফলভাবে হাম ও রুবেলার গণটিকাদান কার্যক্রম চালায়, যার আওতায় ৩ কোটি ৬০ লাখ শিশুকে টিকা দেওয়া হয়েছে। এতে কোভিড-১৯-এর কারণে বাড়তি যে চ্যালেঞ্জ দেখা দিয়েছিল, তা সামাল দেওয়া গেছে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, করোনার কারণে নিউমোনিয়া প্রতিরোধে টিকার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২১ দশমিক ৬৩ শতাংশ পিছিয়ে ছিল বাংলাদেশ।
পরে লক্ষ্যমাত্রা শতভাগ অর্জিত হলেও যারা বাদ পড়েছিল, করোনার আগে–পরে গ্রামে বা শহরে ফিরে গিয়েছিল, তারা সবাই কি সময়মতো টিকা না নেওয়ার ঝুঁকি কাটিয়ে উঠতে পেরেছিল? সেটা নিয়ে শিশুস্বাস্থ্য ও জনস্বাস্থ্য–বিশেষজ্ঞরা যথেষ্ট চিন্তিত। ডেঙ্গুতে এবার শিশুদের শ্বাসকষ্টজনিত মৃত্যু আগের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যায়। এর সঙ্গে টিকা-শৃঙ্খল শিথিল হয়ে যাওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই তো? ধারাবাহিক আর সুনির্দিষ্ট গবেষণা ছাড়া এসব প্রশ্নের উত্তর মিলবে না। কিন্তু স্বাস্থ্য নিরাপত্তার ক্ষেত্রে এসব প্রশ্নের উত্তর জানাটা জরুরি বৈকি।
অস্থিরতার ডামাডোলে স্বাস্থ্য ও শিক্ষার পাশাপাশি নানা সামাজিক ইস্যু চাপা পড়ে যায়। গণমাধ্যমের চিকন ‘জায়গায়’ সেগুলো তেমন গুরুত্ব পায় না বা মেলে ধরার সুযোগ থাকে না। মানুষ খোঁজে অন্য রগরগে খবর। বাল্যবিবাহ, নারী নির্যাতনের মতো ঘটনাও লোকচক্ষুর অন্তরালে চলে যায়। ঘটনা ছাপা হলেও বিশ্লেষণের ‘জায়গা’ থাকে না। এসব ইস্যু তখন আর গণমাধ্যমকে স্পর্শ করে না।
সমাজ বিশ্লেষকেরা বলছেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণের সময়ে দেশে বাল্যবিবাহ প্রায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছিল। প্রথম দিকে ধারণা ছিল, দেশের গরিব মানুষ এই দৌড়ে এগিয়ে থাকবে। আমাদের সাধারণ ধারণা, অভাবের তাড়নায় গরিব মা–বাবা মেয়েকে বিদায় করেন সাততাড়াতাড়ি। ‘অশিক্ষিত আর কুসংস্কারে’ আচ্ছন্ন অভিভাবকেরা মেয়ের বিয়ে ছাড়া আর কীই–বা ভাবতে পারেন? দেশি-বিদেশি গবেষকদের এসব ধারণাভিত্তিক উপসংহার নিয়ে স্বাভাবিক সময়ে বাহাসের সুযোগ মেলে না। আর অন্য সময় আসল কারণ খোঁজার উদ্যোগ আরও দূরের স্বপ্ন হয়ে যায়।
সব ধারণাকে মিথ্যা প্রমাণ করে করোনাকালে বাল্যবিবাহের তেজি ভাব দেখা যায় মতলব, চাঁদপুর, কুমিল্লার লোকালয়ে। বাংলাদেশের সবচেয়ে শিক্ষিত জেলা হিসেবে পরিচিত বৃহত্তর কুমিল্লায় বাল্যবিবাহের হিড়িক নিয়ে চিন্তিত হওয়ার অনেক কারণ ছিল। কিন্তু আলোচিত হয়নি ঘটনার সময়। পরে জানা যায়, এলাকার শিক্ষিত তরুণেরা বিদেশে ভালো চাকরি-বাকরি বা ব্যবসা করেন। করোনা তাঁদের ফিরিয়ে এনেছিল দেশে, হাতে ছিল অখণ্ড অবসর। অনেক দিনের বকেয়া বিয়ে সেরে ফেলার মোক্ষম সময় পেয়েছিলেন তাঁরা। এভাবে বাল্যবিবাহ বন্ধের টার্গেট গ্রুপের বাইরের একটা গ্রুপ হঠাৎ ঢুকে পড়ে বাল্যবিবাহের চক্রে। অনেক শক্তি নিয়ে তারা ভেঙে ফেলে বাল্যবিবাহ বন্ধের ব্যূহটি।
সবচেয়ে শিক্ষিত একটি জেলা বাল্যবিবাহের শীর্ষ তালিকায় উঠে আসে। এই শক্তিকে প্রতিরোধ করার কৌশল কোনো খাতায় লেখা ছিল না। তার ওপর করোনা সংকটে বাল্যবিবাহ বন্ধের প্রচেষ্টা অগ্রাধিকার তালিকার তলানিতে চলে যায়। এমনটিই বলেছিলেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নারী নির্যাতন প্রতিরোধকল্পে মাল্টিসেক্টরাল প্রকল্পের পরিচালক আবুল হোসেন।
আবুল হোসেন বলেছিলেন, স্থানীয় প্রশাসন ও স্থানীয় সরকার প্রশাসন করোনাকে প্রাধান্য দিয়েছে। ফলে বাকি কার্যক্রমগুলো প্রাধান্যের তালিকায় নিচে চলে যায়। এ কারণে হয়তো নারীর প্রতি সহিংসতা ও বাল্যবিবাহের হার বেড়ে গেছে।
গণমাধ্যমের চোখ এড়িয়ে গেলেও বাল্যবিবাহ বাড়তে থাকে করোনাকালে। এ সময় রেডিও তেহরানকে এক সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশ নারীমুক্তি কেন্দ্রের সভানেত্রী সীমা দত্ত বলেছিলেন, অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে, ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় নেতারাও দরিদ্র পরিবারের মেয়েকে বাল্যবিবাহ দিতে বাধ্য করছেন। সম্প্রতি রাজধানীর কুড়িল বস্তিতে এমন ঘটনার অভিযোগ করেছে কয়েকটি ভুক্তভোগী পরিবার।
অন্য সময় হলে রেডিও তেহরানের প্রচারের অনেক আগেই সেসব নিয়ে সরব হতো দেশি গণমাধ্যম।
কোভিডের আগে বাল্যবিবাহ বন্ধের অন্যতম সফল উদ্যোগ ছিল সাতক্ষীরায়। সেখানে কর্মরত বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা ও প্রশাসনের নানা কর্মসূচির কারণে বাল্যবিবাহের হার লক্ষণীয়ভাবে কমে এসেছিল। কিন্তু সব হিসাব পাল্টে যায় করোনাকালে।
অনেকে আবার ডামাডোলের সুযোগ নিয়ে ‘কাকের বাসায় ডিম পেড়ে’ যায়। পুরুষ কোকিলের চিৎকারের ডামাডোলে বিভ্রান্ত মা কাক বাসা ছেড়ে কোকিলের পিছু নিলেই মেয়ে কোকিল তার ডিম রেখে যায় কাকের বাসায়। বাসায় স্থান সংকুলানের জন্য ফেলে দেয় কাকের ডিমগুলো। উপমহাদেশের ধর্মীয় চর্চায় একসময় সতীদাহ প্রথা ছিল। সদ্য বিধবা অসহায় নারীর বাঁচার আকুতি আর কান্না ঢাকা পড়ে যেত ঢোলের আওয়াজে।
প্রতিবেশী দেশের নানা রাজ্যে ভোটের মৌসুম শুরু হয়েছে। গণমাধ্যম ব্যস্ত ‘নির্বাচনী’ খবর নিয়ে। দুর্বৃত্তদের তাতে পোয়া বারো। কর্ণাটকের সেই সাহসী তরুণী মুসকান খানের কথা এখন আর গণমাধ্যমকে টানে না। সংখ্যালঘুদের প্রান্তিকতা নিজের ইচ্ছেমতো খাওয়া আর পোশাকের স্বাধীনতা নিয়ে কারও কোনো উচ্চবাচ্য নেই। মুসকানের ইতিমধ্যে একটা শিক্ষাবর্ষ পিছিয়ে গেছে। তাঁর সাহসী পদক্ষেপ এখন তাঁর কাল হয়ে উঠেছে।
আমাদের ডামাডোলে আমাদের মুসকানরা ভালো থাকুক। হাসিখুশি থাকুক খেলার মাঠে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে, বাড়িতে, রাস্তায়।
দায়মুক্তি প্রবচন: লেখাটি দেশের বর্তমান পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে লেখা নয়। কোনো মিল পাওয়া গেলে তা নিতান্তই কাকতালীয়। কর্তৃপক্ষের কোনো দায় নেই। সব দায় লেখকের।
গওহার নঈম ওয়ারা, লেখক ও গবেষক
nayeem5508@gmail.com