Thank you for trying Sticky AMP!!

নতুন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রমের জন্য নীতিমালা করছে ইউজিসি

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)

দেশে নতুন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের পর শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর বিষয়ে একটি নীতিমালা করতে যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।

এ জন্য ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক মুহাম্মদ আলমগীরকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে শিগগির এ বিষয়ে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

কমিটি আজ সোমবার প্রথম সভা করেছে ভার্চ্যুয়ালি। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন—বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলের সদস্য সঞ্জয় কুমার অধিকারী, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সহউপাচার্য মাহবুবা নাসরীন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন আফরোজা পারভীন ও ইউজিসির উপপরিচালক মৌলি আজাদ (সদস্যসচিব)।

Also Read: বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগে নীতিমালা চায় ইউজিসি

সভায় কমিটির প্রধান মুহাম্মদ আলমগীর বলেন, অবকাঠামো ও শিক্ষাক্রম চূড়ান্ত না করে নতুন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে নানাভাবে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। শিক্ষার্থীরাও বঞ্চিত হচ্ছেন। বিষয়টি সমাধানের জন্য নীতিমালা করা অত্যন্ত জরুরি।

মুহাম্মদ আলমগীর আরও বলেন, নতুন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর বিষয়ে একটি নীতিমালা করা গেলে দেশে গুণগত উচ্চশিক্ষার পাশাপাশি গবেষণার পরিবেশ নিশ্চিত হবে। মানসম্পন্ন গ্র্যাজুয়েট তৈরি হবে। তাঁরা বৈশ্বিক বাজার উপযোগী হিসেবে গড়ে উঠবেন।

Also Read: উচ্চশিক্ষার সব সেবা ডিজিটালাইজড হবে: ইউজিসি

কমিটির সভায় বলা হয়, নতুন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে জ্যেষ্ঠ শিক্ষকদের সংকট রয়েছে। কনিষ্ঠ শিক্ষকদের দিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। এ জন্য কমিটি ‘একাডেমিক মাস্টারপ্ল্যান’ তৈরি ওপর গুরুত্বারোপ করেছে।

কমিটি অংশীজনদের নিয়ে নতুন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর বিষয়ে সভা-সেমিনারের আয়োজন করবে।

Also Read: ইউজিসি অনেক সুপারিশ দেয়, অধিকাংশই বাস্তবায়ন হয় না

কমিটি গঠনের বিষয়ে ইউজিসি বলছে, সাম্প্রতিক কালে দেখা যাচ্ছে, অধিকাংশ নতুন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হওয়ার পর কোনো ধরনের প্রস্তুতি ছাড়াই শিক্ষা কার্যক্রম চালুর উদ্যোগ গ্রহণ করছে। এ ছাড়া তারা ভাড়া করা ভবনে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এতে শিক্ষার্থীদের মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। পাশাপাশি শিক্ষা কার্যক্রমেও ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে। এ জন্য নতুন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হওয়ার পর শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর বিষয়ে একটি নীতিমালা প্রণয়ন জরুরি।